এবার ইউক্রেনের বৃহত্তম সামরিক জ্বালানি ডিপো ধ্বংস করল রাশিয়া। সামরিক অভিযানের ২৯তম দিন বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানী কিয়েভের কাছেই ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র মেরে ডিপোটি উড়িয়ে দেয় রুশ বাহিনী।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘কিয়েভের নিকটবর্তী কালিনিভকা গ্রামে অবস্থিত একটি জ্বালানি ডিপোতে ক্রুজ মিসাইল হামলা চালানো হয়েছে।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এটা ইউক্রেনের বৃহত্তম সামরিক জ্বালানি ডিপো। এই ডিপো থেকে ইউক্রেনের মধ্যাঞ্চলে সেনাদের প্রয়োজনীয় জ্বালানি সরবরাহ করা হত। তবে রাশিয়ার এই দাবির সত্যতা নিশ্চিত করেনি কিয়েভ।
এর আগে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে মাইকোলাইভ শহরের একটি তেলের ডিপো ধ্বংস করে রুশ বাহিনী।
ক্রিমিয়া এলাকায় একটি মিগ-৩১কে বিমান থেকে কিনঝাল নামের ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। এর ফলে মুহূর্তে ধ্বংস হয়ে যায় বিরাট জ্বালানি ডিপোটি।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ সেনারা। মস্কো বলছে, ইউক্রেনকে ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’ এবং পূর্ব-ইউক্রেনের দোনেস্ক ও লুহানস্কের রুশ ভাষাভাষী বাসিন্দাদের রক্ষার জন্য এ সামরিক অভিযান চালানো হচ্ছে।
ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। সর্বাত্মক হামলা শুরুর পর এক সপ্তাহের মধ্যেই দেশটির বহু শহর কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।
ইউক্রেন সরকারের বরাত দিয়ে অভিযানের ৩০তম দিন শুক্রবার বিবিসি জানিয়েছে, ইউক্রেনের দক্ষিণের বন্দর নগরীমারিউপোলের থিয়েটারে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। হামলায় ৩০০ জন নিহত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে থিয়েটারে হামলা চালানোর বিষয়টি নাকচ করেছে মস্কো।
দ্য ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্ট্যাডি অব ওয়্যার (আইএসডব্লিউ) বলছে, রাশিয়ার সেনারা মারিউপোলে সামরিক অভিযানের ক্ষেত্রে অগ্রগতি অর্জন করেছে।