রাজধানীর শাহজাহানপুরে ইসলামিয়া হাসপাতালের সামনে দুর্বৃত্তদের গুলিতে কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান জামাল প্রীতি (২২) নিহতের ঘটনায় কোনো মামলা করবে না বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
শুক্রবার দুপুরে প্রীতির বাবা মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমার মেয়ের হত্যার ঘটনায় মামলা করবো না। আমরা সাধারণ পরিবারের ও নিরীহ মানুষ। আল্লাহ আছে একজন, তিনিই দেখবেন।
প্রীতির বাবা জামাল উদ্দিন আরো বলেন, আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তাই সাধারণ জীবন-যাপন করি। বিচার চেয়েই বা কী হবে? কার বিরুদ্ধে মামলা করবো? হয়তো এক্সিডেন্টলি ঘটনাটি ঘটে গেছে।
এদিকে এ ঘটনায় নিহত আওয়ামী লীগ নেতা টিপুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১১, ১২, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে শাজাহানপুর থানায় মামলা করেছেন। শুক্রবার সকালে শাহজাহানপুর থানায় করা এ মামলায় তিনি কারও নাম উল্লেখ করেননি। অজ্ঞতা আসামি হিসেবে মামলা করেছেন ডলি।
ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার আব্দুল আহাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে টিপুর স্ত্রী অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে শাহজাহানপুর থানাধীন ২০২ উত্তর শাহজাহানপুর মানামা ভবনস্থ বাটার দোকানের সামনে পৌঁছামাত্র অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা হামলা করে। তারা আমার স্বামী জাহিদুল ইসলাম টিপুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করে।
জাহিদুল ইসলাম টিপু মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন জানিয়েছেন। আর প্রীতি রাজধানীর বদরুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, ঘটনার সময় টিপু গাড়িতে ছিলেন। গুলিতে তার গাড়িচালক মনির হোসেন মুন্না (২৬) আহত হয়েছেন। এছাড়া শিক্ষার্থী প্রীতি রিকশায় ছিলেন। সেখানেই গুলিবিদ্ধ হন তিনি।
রাত সোয়া ১১টার দিকে তাদের তিনজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত মুন্না সেখানে চিকিৎসাধীন।