ইউক্রেনের ইঝুম শহর দখলে নেওয়ার দাবি করেছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। যদিও সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে ইউক্রেন।
রাশিয়ার ‘দখলে’ ইউক্রেনের আরেক শহর
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) আরআইএ-নভোস্তির বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এমন খবর দিয়েছে।
ইউক্রেনের সেনাপ্রধান ভ্যালেরি ঝালুজনির উপদেষ্টা লিউদমায়লা ডোলহোনোসক বলেন, ইঝুম শহরে এখনো লড়াই চলছে। কারকিভ ও রুশ-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতবাদী অঞ্চল লুহানস্ক ও দোনেৎসকের মধ্যবর্তী সড়কে ইঝুম শহরের অবস্থান।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই শুরু হওয়ার পর শহরটির সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বোমায় শহরটির ভবনগুলো দগ্ধ ও বিধ্বস্ত হয়েছে। রাস্তায় সারি সারি মরদেহ পড়ে আছে।
এদিকে দক্ষিণাঞ্চলীয় ইউক্রেনের শহর খেরসনের সিটি হলের দেয়ালে ইউক্রেনের বিশাল পতাকা মুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। শহরটি এর আগে রাশিয়া দখলে নিয়েছে। এ সময়ে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী হলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকলেও পতাকা টাঙানোয় তারা বাধা দেননি।
ছবিতে দেখা যায়, একটি ক্রেনে করে শ্রমিকেরা দেয়ালে পতাকা মুড়িয়ে দিচ্ছেন।
প্রতিবেশী দেশে রাশিয়ার অভিযান পঞ্চম সপ্তাহে পড়েছে। এতে ইউক্রেনের শহরগুলোয় রাশিয়ার বোমায় বিপর্যয় নেমে এসেছে। এদিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর অপরাধ তদন্তে আন্তর্জাতিক আদালতকে পাঁচ লাখ ইউরো অনুদান দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, অপরাধ তদন্তে ম্যাজিস্ট্রেট, তদন্তকারী ও বিশেষজ্ঞ দিয়ে সহায়তা করবে ফ্রান্স। কৌঁসুলিরা যাতে তদন্ত নির্ভেজালভাবে করতে পারেন, তাতে সহায়তা করবে ফ্রান্স।