মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সংবাদ-সম্মেলনে উঠে এলো বাংলাদেশের রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধানে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিকে ১১ কংগ্রেস সদস্যের লেখা একটি চিঠি প্রসঙ্গ। একই সঙ্গে ব্লগার ও লেখক অভিজিত রায়ের বিচার প্রসঙ্গে প্রশ্নকর্তা বাংলাদেশে এফবিআইয়ের তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেন সাকির কাছে। সংবাদ-সম্মেলনে বাংলাদেশ অংশটুকু প্রশ্নোত্তর আকারে এখানে তুলে ধরা হলো:
প্রশ্ন: আমার প্রশ্ন বাংলাদেশ ইস্যুতে। আমি শুনেছি, বাংলাদেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধানে কংগ্রেসের (মার্কিন) ১১ সদস্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিকে চিঠি লিখেছিলেন। কিন্তু, তা সত্ত্বেও একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশ সরকার বিরোধী দলের সঙ্গে কোন সংলাপে বসার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করছে। আমার দ্বিতীয় প্রশ্নটি গত মাসে হত্যার শিকার অভিজিতের (ব্লগার ও লেখক) বিচারকে কেন্দ্র করে। পুরো বিষয়টি তদন্তে এফবিআই বাংলাদেশ সফর করেছিল। এ ব্যাপারে আপনার কাছে নতুন কোন তথ্য আছে কি?
মুখপাত্র: আমার কাছে নতুন কোন তথ্য নেই। আমি আপনার প্রশ্ন সানন্দে গ্রহণ করছি। আপনি বলছিলেন কর্মকর্তারা পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেরিকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। আমি দেখবো, আমাদের দলে কেউ আছেন কিনা, যিনি চিঠিটির ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিতে পারেন। কিংবা আমাকে আরেকবার বলুন কারা এটি পাঠিয়েছেন।
প্রশ্ন: দুটি প্রশ্ন। প্রথমটি হচ্ছে-
মুখপাত্র: হ্যাঁ, প্রথমটি চিঠির বিষয়ে। চিঠিটি কে পাঠিয়েছেন?
প্রশ্ন: কংগ্রেসের ১১ সদস্য…
মুখপাত্র: ১১ কংগ্রেস সদস্য। আমি দুঃখিত।
প্রশ্ন: …পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেরিকে চিঠি লিখেছিলেন।
মুখপাত্র: ঠিক আছে।
প্রশ্ন: এবং দ্বিতীয় প্রশ্নটি ছিল অভিজিত হত্যার বিচারকে কেন্দ্র করে। বাংলাদেশ সফর (তদন্তের স্বার্থে) করেছে এফবিআই…
মুখপাত্র: নিশ্চয়ই। আমি আমার প্রশ্নগুলো সাদরে গ্রহণ করলাম এবং আপনাকে জানানোর জন্য এ দুটি বিষয়েই খোঁজ-খবর নেবো।