নোয়াখালী: নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার ৫ নম্বর মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে ছোট ছেলে ও তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে সম্পত্তি লিখে দেয়ায় বৃদ্ধ আবদুল মান্নানের লাশ দাফনে বাধা দেয় অন্য সন্তানেরা। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্যদের হস্তক্ষেপে ২২ ঘণ্টা পর দাফন সম্পন্ন হয়।
মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বানসা গ্রামের পশ্চিম হাজি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলার ৫ নম্বর মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বাহালুল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি আরো জানান, কয়েক বছর আগে তিনি তার ছোট ছেলে আবুল কালামের স্ত্রী জাহানারা বেগম ও সন্তানদের নামে ৩৯ শতাংশ জমি রেজিস্ট্রি করে লিখে দেন। এই নিয়ে তার অন্য ২ ছেলে ও ২ মেয়ের সাথে তার চরম বিরোধ সৃষ্টি হয়। গত সোমবার ২১ মার্চ রাত ৮টার দিকে বাধ্যর্কজনিত কারণে বৃদ্ধ আবদুল মান্নানের মৃত্যু হলে তার অপর ২ ছেলে ও ২ মেয়ে এবং নাতি-নাতনিরা তার লাশ দাফনে বাধা দেয়।
তিনি আরো বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় গোলাম সরোয়ার, সালাউদ্দিন মেম্বার, বেল্লাল মাঝি, সাবেক মেম্বার আবুল খায়ের, বেল্লালসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় বিষয়টি সমাধানের আশ্বাসে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় মৃতের জানাজা শেষে লাশ দাফন করা হয়।
লাশ দাফনে বিলম্বের কারণ জানতে চাইলে জাহানারা বেগমের ভাই আরমান পাপ্পু বলেন, কিছুটা সমস্যা হয়েছে। সমস্যা সমাধানের আশ্বাসে মৃতের দাফন করা হয় এবং আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বাহালুল চেয়ারম্যানসহ ২ নম্বর ওয়ার্ডের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে যেভাবে সুন্দর হয় সেভাবে মান্নানের সম্পত্তির সমাধান করা হবে।