খুলনা, যশোরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাঁচ জেলার গ্রাহকদের দুই চুলার গ্যাসের দাম ৯৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৮০ টাকা এবং এক চুলার গ্যাসের দাম ৯২৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৯০ টাকা করার সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ এনাজি রেগুলেটরি কমিশনের কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি। তবে সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি প্রস্তাব করেছে দুই চুলার জন্য ২১০০ টাকা (১১৫% বৃদ্ধি) এবং এক চুলার জন্য ২০০০ টাকা (১১৬% বৃদ্ধি)।
আজ মঙ্গলবার (২২শে মার্চ) রাজধানীর বিয়াম অডিটরিয়ামে সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানির গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের উপর গণশুনানির আয়োজন করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। শুনানিতে এই সুপারিশ করেছে কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি।
এ সময় কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, সদস্য মকবুল ই ইলাহী চৌধুরী, বজলুর রহমান ও মোহাম্মদ আবু ফারুক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শুনানির শুরুতে চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বলেন, সবার আগে জনগণ, তাদের ছাড়া আমারও অস্তিত্ব থাকে না। দাম বৃদ্ধির পরে সামাজিক কী প্রভাব পড়বে সেটি দাম বৃদ্ধির আবেদনের সঙ্গে থাকা উচিত ছিল। কিন্তু কোম্পানিগুলো সে বিষয়টি এড়িয়ে গেছে। এটি থাকা উচিত ছিল।
কারিগরি কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, বিদ্যুৎ খাতে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ৪ টাকা ৪৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৫ টাকা ৩৪ পয়সা, ক্যাপটিভে ১৩ টাকা ৮৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১৫ টাকা ৫০ পয়সা, সারে ৪ টাকা ৪৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৫ টাকা ৩৪ পয়সা, চা শিল্পে ১০ টাকা ৭০ পয়সা বাড়িয়ে ১২ দশমিক ৬৫, বাণিজ্যিকে ২৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৭ টাকা ৬০ পয়সা, সিএনজিতে ৪৩ থেকে বাড়িয়ে ৪৯ টাকা ৫০ পয়সা করার সুপারিশ করেছে কারিগরি কমিটি।
এছাড়া মিটারযুক্ত চুলার ক্ষেত্রে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ১২ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১৮ টাকা করার সুপারিশ করা হয় শুনানিতে।।