দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ভালো সংগ্রহ পায়নি বাংলাদেশ। সেঞ্চুরিয়নে ব্যাটাররা দারুণ পারফর্ম করলেও জোহানেসবার্গে আফিফ ও মিরাজ ছাড়া কেউই উল্লেখযোগ্য রান পাননি।
এ দুই ব্যাটারের দারুণ ইনিংসে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রানের সংগ্রহ পায় টাইগাররা।
রোববার (২০ মার্চ) জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্সে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দলীয় তৃতীয় ওভারে আসা লুঙ্গি এনগিডির দ্বিতীয় বলে ফিরে যান ওপেনার তামিম ইকবাল (১)। তার বাউন্সার বুঝতে না পেরে ব্যাটের কানায় লাগলে ক্যাচ লুফে নেন কেশভ মাহারাজ। পরের ওভারেই কাগিসো রাবাদার বলে শূন্য রানে ফিরে যান সাকিব আল হাসান।
এরপর বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি লিটন দাসও। ডাক মেরে সাকিবের বিদায়ের পর রাবাদার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেন লিটন দাস। ২১ বলে ১৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারলেন না ইয়াসির আলীও। দ্বাদশ ওভারের শেষ বলে রাবাদার বলে কেশব মহারাজের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ১৪ বলে মাত্র ২ রান করে বিদায় নেন এই ব্যাটার। পরের ওভারেই পার্নেলের বলে এলবিডব্লিউ হন মুশফিকুর রহিম। ৩১ বলে ১২ রান করে সাঝঘরে ফেরেন তিনি।
দল যখন ব্যাটিং বিপর্যয়ে তখন হাল ধরলেন আফিফ হোসাইন ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। থিতু হয়ে ৮৭ বলে ৬০ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। কিন্তু ২৮তম ওভারে প্রথম বলেই ব্রেকথ্রু এনে দেন তাবরাইজ শামসি। জানেমান মালানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ২৫ রানে বিদায় নেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।
মাহমুদউল্লাহর ফেরার পর ব্যাট করতে নামা মেহেদি হাসান মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন আফিফ হোসাইন। ৭৯ বলে ৭ চারে তুলে নেন অর্ধশতক। অপরপ্রান্তে থাকা মিরাজকে নিয়ে যখন ৮৬ রানের জুটি গড়েন তিনি তখনই রাবাদার বলে উইকেট হারান তিনি। ১০৭ বলে ৭২ রান করে সাঝঘরে ফেরেন এই ব্যাটার। একই ওভারে রাবাদার পঞ্চম শিকার হন রাবাদা। মালানের হাতে ক্যাচ তুলে ৪৯ বলে ৩৮ রান করে বিদায় নেন তিনি।
শেষদিকে এসে ভ্যান ডার ডুসেনের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে এইডেন মার্করামের তালুবন্দি হন শরিফুল ইসলাম (২)। এরপর তাসকিন ও মোস্তাফিজের ব্যাটে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৯৫ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ। তাসকিন ৯ ও মোস্তাফিজ ২ রানে অপরাজিত থাকেন। স্বাগতিকদের হয়ে একাই ৫ উইকেট শিকার করেন রাবাদা।