মার্চের শুরুতে ইউক্রেন উপকূলে নোঙর করা বাংলাদেশী জাহাজে রাশিয়ার মিসাইলের আঘাতের জেরে বীমা সংস্থার কাছে দুই কোটি ২৪ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে ঢাকা।
শুক্রবার সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এই খবর জানায় ব্রিটেনভিত্তিক আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে এটিই প্রথম এত বড় অঙ্কের কোনো ক্ষতিপূরণের দাবি।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার আগ্রাসনের জেরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইউক্রেন দেশটির সব বন্দর বন্ধ করে দেয়ার পর রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের অধীন ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ নামের কার্গো জাহাজটি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকা পড়ে।
যুদ্ধের মধ্যে ২ মার্চ দিবাগত রাতে রাশিয়ার একটি মিসাইল জাহাজটিতে আঘাত হানে। এতে জাহাজটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং হাদিসুর রহমান নামে একজন ক্রু নিহত হন।
হামলার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন বীমা সংস্থার থেকে দুই কোটি ২৪ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়েছে। জাহাজটির বীমা প্রদান করেছিল ঢাকা-ভিত্তিক সাধারন বীমা কর্পোরেশন। অপরদিকে লয়েডস অফ লন্ডন ব্রোকার টাইজারসের মাধ্যমে জাহাজটিকে রিইনসিউর করা হয়েছিল।
এদিকে জাতিসঙ্ঘের জাহাজ সংস্থা গত সপ্তাহে বলেছে যে কৃষ্ণসাগরে আটকে পড়া বাণিজ্যিক জাহাজগুলিকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যেতে একটি করিডোরের ব্যবস্থা করা হবে। তবে বিভিন্ন জাহাজ সংস্থা দাবি করেছে, এই প্রক্রিয়া খুবই ধীর গতিতে এগোচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি চারটি জাহাজে মিসাইল আঘাত হেনেছে। এবং সেই জাহাজগুলির মধ্যে একটি জলে তলিয়ে গিয়েছে।
এদিকে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই অঞ্চলে ভ্রমণের জন্য বীমা প্রিমিয়াম ১০০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। বীমাকারীরা মনে করছেন এই অঞ্চল থেকে আরো ক্ষতিপূরণের দাবি উঠবে যা সংস্থাগুলির খরচ বাড়িয়ে দেবে।