ইউক্রেনে যুদ্ধ শেষ করার জন্য নিজের বিভিন্ন দাবির কথা তুলে ধরেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে ফোনালাপে এসব দাবির কথা জানান তিনি।
ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করবেন পুতিন, তবে…
দুই নেতার ফোনালাপের বিষয়টি ব্রিটিশি সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে নিশ্চিত করেছেন এরদোগানের প্রধান উপদেষ্টা ইব্রাহিম কালিন। তিনি জানান, যুদ্ধ শেষ করার জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট যেসব দাবি তুলেছেন তার মধ্যে কিছু দাবি ইউক্রেনের পক্ষে মেনে নেওয়া সহজ হবে।
প্রথমত, পুতিন ইউক্রেনের পক্ষ থেকে আশ্বাস চাইছেন যে তারা নিরপেক্ষ থাকবে এবং ন্যাটোতে যোগ দিতে চাইবে না। এর আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও পুতিনের সুরে সুর মেলান। তিনি বলেন, ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দেবে না।
ন্যাটো ইস্যুতে রাশিয়া-ইউক্রেন একমত হলে তা উভয় পক্ষের মধ্যে চলমান শান্তি আলোচনা থেকে কার্যকর ফলাফল বয়ে আনতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরাও।
ইব্রাহিম কালিন বিবিসিকে জানান, ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের বিরোধীতা ছাড়াও রাশিয়ার পক্ষ থেকে আরও তিনটি দাবি উপস্থাপন করা হয়েছে, যা মূলত রাশিয়ার মর্যাদা রক্ষার জন্যই। পুতিন বলেছেন, যুদ্ধ শেষ করার জন্য ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়ার মধ্যে যেতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যে রাশিয়ার জন্য তারা হুমকি নয়। এ ছাড়া ইউক্রেনে রাশিয়ার ভাষা সংরক্ষণ করতে হবে। পরিত্যাগ করতে হবে নাৎসিবাদ। এখানে নাৎসিবাদ পরিত্যাগের দাবিতে ঠিক কী কী অন্তর্ভুক্ত থাকবে তা স্পষ্ট নয়। তবে বারবার এটিকে যুদ্ধের অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন পুতিন।
এরপর পুতিন যেসব দাবির কথা জানিয়েছেন তা পূরণ করা ইউক্রেনের জন্য তুলনামূলক কঠিন। কালিনের মতে, এসব চ্যালেঞ্জিং দাবির মধ্যে ক্রিমিয়া এবং দোনবাস অঞ্চলের মর্যাদার বিষয়টি জড়িত। আর এ বিষয়ে আলোচনার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করতে হবে বলেও জানান পুতিন। এসব দাবি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কিছু জানা যায়নি।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পুতিন-এরদোগানের ফোনালাপের পর ইব্রাহিম কালিন মস্কোর যে দাবিগুলোর কথা জানিয়েছেন তা যুদ্ধবিরতির জন্য গত সপ্তাহে ক্রেমলিনের দেওয়া রূপরেখার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। আর রাশিয়ার এ দাবিগুলো ইউক্রেনের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।
এর আগে বুধবার (১৬ মার্চ) রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনার জন্য নিজস্ব বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।