৪৯ তম ওভারে ফের জোড়া আঘাত হানলেন রুবেল হোসেন। এতে ১৫ রানের জয় নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল বাংলাদেশ। এর আগে ক্রিজে মানিয়ে নেয়া ইংলিশ ব্যাটসম্যান জস বাটলারের উইকেট তুলে নিয়ে ও ক্রিস জর্ডানের রান আউটে লড়াইয়ে ফেরে বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত ৬৫ রানে বাটলারের উইকেট তুলে নেন তাসকিন আহমেদ। শেষ ২৫ বলে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ৩৮ রান। হাতে তাদের তিন উইকেট। এর আগে বাংলাদেশের আশা বাড়ান অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ৩৬তম ওভারে মাশরাফির পেসে মুশফিককে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন জো রুট। ৩৭ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ১৬৯/৬।
এর আগে বল হাতে ইংলিশ শিবিরে আঘাত হানেন বাংলাদেশের তরুণ তুর্কি তাসকিন আহমেদ। ২৯.৪তম ওভারে বাংলাদেশের এ তরুণ পেসার তুলে নিলেন ইংলিশ ইনফর্ম ব্যাটসম্যান জেমস টেইলরের উইকেট। আসরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অপরাজিত ৯৮ রানের ইনিংসে নজরকাড়া এ ইংলিশ ব্যাটসম্যান অ্যাডিলেডে ক্যাচ দেন ইমরুল কায়েসকে। ৩০ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ১৩২/৫। ইনিংসের ২৭তম ওভারে বল হাতে জোড়া আঘাত হানেন রুবেল হোসেন। ক্রিজে মানিয়ে নেয়া ইংলিশ ওপেনার ইয়ান বেলকে রুবেল সাজঘরের পথ দেখান ওভারের প্রথম বলে। আর ২৬.৪তম ওভারে রুবেলের পেসে ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগানের ক্যাচ বাউন্ডারি সীমানার কাছে দারুণ দক্ষতায় তালুবন্দি করেন সাকিব আল হাসান। উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহীমের হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে ইয়ান বেল ৮২ বলে করেন ৬৩ রান। ২৭ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১২৩/৪-এ। বাংলাদেশের বল হাতে দ্বিতীয় আঘাত হানেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ইংল্যান্ড ইনিংসের ১৯.৫ ওভারে মাশরাফি তুলে নেন ওয়ানডাউন ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স হেলসের উইকেট। মাশরাফির অফস্টাম্পের বল খোচা দিয়ে উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহীমের গ্লাভসে ক্যাচ দেন হেলস। উইকেট দেয়ার আগে ৪০ বলে ২৭ রান করেন এ ইংলিশ টপঅর্ডার। ওপেনার মঈন আলীর উইকেট হারিয়ে ১৬ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৭৬/১। ইনফর্ম ওপেনার মঈন আলী সাজঘরে ফিরে যান রানআউট হয়ে। এর আগে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে সেঞ্চুৃরি করলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। শুধু বিশ্বকাপেই প্রথম সেঞ্চুরি নয় এটি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারেও প্রথম শতক। সাতটি চার ও দুটি ছয়ের মারে অনবদ্য শত রাতে মাহমুদুল্লাহ খরচ করেন ১৩১। ১৯৯৯ সাল থেকে এই পর্যন্ত ৫টি বিশ্বকাপ খেললেও দলের পক্ষে শতরান করতে পারেননি কোন ব্যাটসম্যান। সর্বশেষ ২০০৭ সালে মোহাম্মদ আশরাফুলের ৮৭ রান ছিল চতুর্থ বিশ্বকাপ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ব্যাক্তিগত রান। এরপর এই বিশ্বকাপে তামিম ইকবাল স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৫ রান করে সেই রেকর্ড ভাঙ্গেন। ঠিক এক ম্যাচ পরেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ইতিহাস রচনা করেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। এই পর্যন্ত ১১৪টি ওয়ানডে খেলা রিয়াদ ক্যারিয়ারে ১২টি ফিফটি হাঁকালেও সেঞ্চুরির দেখা পাননি। তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান ছিল ৮২। গত বছর দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে তিনি এ রান করেন। ব্যক্তিগত শত রানের রেকর্ড করে বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি রিয়াদ। ব্যক্তিগত ১০৩ রানে আউট হন তিনি। এরপর ব্যাট হাতে সাব্বির রহমান মুশফিকের সঙ্গী হলেও ব্যক্তিগত ৮৯ রানে আউট হন মুশফিক। সাব্বির ১৪ রানে আউট হলে ব্যাট হাতে অপরাজিত ছিলেন মাশরাফি ও আরাফাত সানি। নির্ধারিত ওভারে সাত উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৭৫রান।