রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজের অগ্রগতি ৩২ শতাংশ হয়েছে। আর এ কাজে গতি বাড়ানোর কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণবভনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে এয়ারপোর্ট নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে। নির্মাণের গতি বাড়ানোর পাশাপাশি ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে কাজ করতে হবে বলেও জানান তিনি।
নির্মাতা রোহান বাহরিনের নকশাতেই তৈরি হচ্ছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল। যেখানে থাকবে একসঙ্গে দেড় হাজার গাড়ি পার্কিং সুবিধা, যাত্রীদের সবচেয়ে কম সময়ে সেবা দিতে থাকবে ১১৫টি চেক ইন কাউন্টার, ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ, আর ৬৪টি ইমিগ্রেশন কাউন্টার। সক্ষমতা তৈরি হবে বছরে দুই কোটি মানুষকে সেবা দেওয়ার। এসব স্বপ্ন বাস্তবায়নে বিরতিহীনভাবে কাজ চলছে আড়াই লাখ বর্গমিটার ইয়ার্ডজুড়ে।
চকচকে টার্মিনাল, সুপারফাস্ট চেক ইন, ইমিগ্রেশন কাউন্টার কিংবা বোর্ডিং ব্রিজ দেখে মনে হবে বিশ্ববিখ্যাত চাঙ্গী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। বিমানবন্দরে নেমেই হাতের নাগালে পাতাল রেল কিংবা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, এক মুহূর্তেই পৌঁছে যাওয়া যাবে শহরের আরেক প্রান্তে।
বর্তমানে দুই টার্মিনালে একসঙ্গে মাত্র ১২টি উড়োজাহাজ পার্ক করতে পারে, কিন্তু নতুন টার্মিনালে থাকবে একসঙ্গে ৩৭টি উড়োজাহাজ পার্ক করার সুবিধা। দুই জাপানিজ কোম্পানি মিতসুবিশি আর ফুজিতার সঙ্গে বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল তৈরিতে কাজ করছে দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং কনস্ট্রাকশনও।