উৎপাদন ও ভোক্তা পর্যায়ে ভোজ্য তেলের ওপর ওপর আরোপ করা মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) প্রত্যাহার করা হয়েছে। মোট ২০ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে আমদানিতে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট বহাল থাকবে। সোমবার (১৪ মার্চ) এ আদেশ জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
বর্তমানে ভোজ্যতেলের উৎপাদন স্তরে ১৫ শতাংশ, ভোক্তা পর্যায়ে ৫ শতাংশ ও আমদানি স্তরে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়। অর্থাৎ তিন স্তরেই ভ্যাট প্রযোজ্য।
নতুন নিয়মে উৎপাদন ও ভোক্তা পর্যায়ে সম্পূর্ণ ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। শুধু ভোজ্য তেল আমদানিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে। অবশ্য তিন স্তরেই ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি ছিল ব্যবসায়ীদের।
সোমবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয় এবং এদিন থেকেই তা কার্যকর করা হয়েছে। আগামী ৩০শে জুন পর্যন্ত এই আদেশ বহাল থাকবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চলতি বছরের ৩০শে জুন পর্যন্ত ওই ভ্যাট দিতে হবে না।
যদিও অপরিশোধিত ভোজ্য তেলের আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান ১৫ শতাংশ ভ্যাট অপরিবর্তিত থাকছে।
উৎপাদন ও ভোক্তা পর্যায়ে ভ্যাট প্রত্যাহার করে নেয়ায় ভোজ্য তেলের বাজার স্থিতিশীল হবে এবং সাশ্রয়ী দামে ভোক্তা পণ্যটি কিনতে পারবে বলে আশা করছে সরকার।
এনবিআর বলেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্য তেলের দাম অস্বাভাবিক থাকা সত্ত্বেও আসন্ন রমজানে জনগণ যাতে সাশ্রয়ী দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটি কিনতে পারে, সে লক্ষ্যে সরকার কর কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্প্রতিবার ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ভোজ্য তেলের ওপর আরোপ করা ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এনবিআর এখন এসআরও বা আদেশ জারি করে সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করল।
এর আগে সোমবার সচিবালয়ে ভোজ্য তেল আমদানিতে ১০ শতাংশ এবং ভোক্তা পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফ হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। একই সঙ্গে ভোজ্য তেল উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করা হবে বলে জানান তিনি।