মানসিক অবসাদের কারণে হুট করেই ছুটি নেন সাকিব আল হাসান। তবে টিম টাইগার্সের সেরা তারকা সিদ্ধান্ত বদলেছেন। টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ খেলতে যাচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। আগামীকাল প্রোটিয়াদের আঙিনায় দলের সঙ্গে যোগ দেয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়বেন তিনি। খবরটি নিজেই জানিয়েছেন সাকিব।
সম্প্রতি বিসিবিকে নিজের ফিটনেসহীনতা এবং মানসিক অবসাদের কথা জানান সাকিব। বিসিবি তাকে আগামী ৩০শে এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি দেয়। এরপর কেন্দ্রীয় চুক্তির তিন ফরম্যাটে রাখা হয় বিরতি নেয়া সাকিবকে। টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি অনীহা প্রকাশ করলেও, তিন ফরম্যাটেই কেনো সাকিবকে রাখা হয়েছে এ নিয়ে চলে কানাঘুষা।
অবশেষে জল্পনায় পানি ঢেলে বাংলাদেশ ক্রিকেটের বরপুত্র ছুটি না কাটিয়ে ফিরলেন বোর্ডে। সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে জরুরি বৈঠকের পর জানালেন দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলতে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা।
বিসিবি সভাপতির সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন সাকিব। তিনি বলেন, ‘পাপন ভাইয়ের সঙ্গে পরশু রাতেও কথা হয়েছে। আজও কথা হলো। যেহেতু তিন ফরম্যাটেই আছি, তিন ফরম্যাটেই সবসময় উপস্থিত থাকবো। বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে কখন বিশ্রাম দেয়া দরকার। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও আমি এভেইলেবল।’
বিসিবি বস পাপন গণমাধ্যমকে জানান, রোববার (১৩ই মার্চ) রাতে সাকিব দক্ষিণ আফ্রিকার বিমান ধরবেন। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টাইগাররা খেলবে তিন ওয়ানডে ও দুটি টেস্ট। সাকিব দুই সিরিজেই খেলবেন বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি। তবে বিশ্রামের প্রয়োজন হলে সবগুলো ম্যাচ না ও খেলতে পারেন তিনি।
সাকিব আল হাসানকে নিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দুই ফরম্যাটের দল ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে গত ৬ই মার্চ সাকিব জানান, মানসিক ও শারীরিক অবসাদের কারণে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যেতে আগ্রহী নন। বোর্ডের কাছে ছুটি চাইলে গত ৯ই এপ্রিল তাকে বিরতিতে পাঠায় বিসিবি।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যেতে তিন দফায় বাংলাদেশ ছাড়ার কথা রয়েছে টাইগারদের। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ দলের দুটি বহর দেশ ছেড়েছে।
শুক্রবার সকাল ১০:৪৫ মিনিটে ওয়ানডে দলে সুযোগ পাওয়া চার ক্রিকেটার সহ মোট ৮জন দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ে। একই দিন রাত ১১টায় ঢাকা ত্যাগ করে টাইগারদের দ্বিতীয় বহর। শুধু টেস্ট দলে সুযোগ পাওয়া ক্রিকেটাররা দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার কথা আজকে। বেলা পৌনে ১১টায় কেপটাউনের বিমান ধরার কথা তাদের।
দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছে রোববার বিশ্রামে থাকবে টিম টাইগার্স। এরপর ১৪ই মার্চ শুরু করবে অনুশীলন। এসময় একটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে টাইগাররা। ১৮ই মার্চ সেঞ্চুরিয়নে হবে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে। জোহানেসবার্গে দ্বিতীয় ম্যাচটি হবে ২০শে মার্চ। এরপর ২৩শে মার্চ সিরিজের শেষ ম্যাচটিও হবে সেঞ্চুরিয়নে।
৩১শে মার্চ ডারবানে শুরু হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। আর দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ৮ই এপ্রিল, পোর্ট এলিজাবেথে। এক মাসের সফর শেষে ১৩ই এপ্রিল দেশে ফেরার কথা টাইগারদের।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের সিরিজ দুটি আইসিসি ওয়ানডে সুপার লীগ ও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভূক্ত।