কংগ্রেসের পরাজয় পাক-ভারত-বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র নিয়ে বিতর্ক

Slider সারাবিশ্ব


বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশ, গোয়া, উত্তরাখণ্ড এবং মনিপুরে ক্ষমতাসীন বিজেপি জয় তুলে নিয়েছে। অন্যদিকে পাঞ্জাব রাজ্যে জয় পেয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। অর্থাৎ, উত্তর প্রদেশ থেকে গোয়া সর্বত্রই ধরাশায়ী কংগ্রেস। এই অবস্থায় কংগ্রেস নেতারা ফের গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হবেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক সচেতন মহল।

যুক্তরাষ্ট্রের থিংক ট্যাংক উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ মাইকেল কুগেলম্যান যেমন প্রশ্ন রেখেছেন, “শতাব্দী প্রাচীন কংগ্রেসের এমন পতন দলটির সামনে চলার পথে বেশ কয়েকটি প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে যেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন- দলটি কি গান্ধীদের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের দিকে যাবে?’

এক টুইটবার্তায় মাইকেল কুগেলম্যান আরো লিখেছেনঃ ভারতের এই নির্বাচনগুলোতে কংগ্রেসের সর্বশেষ পরাজয় এই অঞ্চলের রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্রের অবস্থা নিয়ে আরো বিতর্কের জন্ম দেবে যা পাকিস্তানে ঝুলে আছে, বাংলাদেশে খুব বেশি মাত্রায় ঢুকেছে এবং ভারতে মারা যাচ্ছে। আমরা কি কংগ্রেসকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অ-গান্ধী ব্যক্তিত্ব আনার প্রচেষ্টা দেখতে পাচ্ছি?

ওদিকে লোকসভা সাংসদ, প্রবীণ কংগ্রেস নেতা, জাতিসংঘের সাবেক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শশী থারুর মনে করেন, কংগ্রসকে যদি টিকিয়ে রাখতে হয় তাহলে দলে রদবদল আনতেই হবে। দলের ভেতরে এবং বাইরে যে দাবিগুলো উঠছে সেগুলো নিয়ে পর্যালোচনার প্রয়োজন রয়েছে।
দলের সকলের কথায় গুরুত্ব দিতে হবে।

শশী থারুর টুইটে লিখেছেন- এখনও পর্যন্ত তাদের মতো অনেকেই কংগ্রেস দলটির ওপর আস্থা রাখতে চান। কিন্তু, সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল থেকে দল যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেটা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। কংগ্রেস যে অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে সেখান থেকে দেশের জন্য ইতিবাচক এজেন্ডা নেওয়া আর লড়াই করা সম্ভব নয়। তাই, এমন সিদ্ধান্ত নিতে হবে যা দলের কর্মী ও ভারতের মানুষকে উজ্জীবিত করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *