বিয়ের বছর না পেরুতেই লাশ হলো চৈতি

Slider নারী ও শিশু


চরফ্যাসন (ভোলা) প্রতিনিধি:চরফ্যাসনে চৈতি রানী (২৫) নামের এক গৃহবধূকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে স্বামীসহ তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে চরফ্যাশন থানায় মামলা হয়েছে। শনিবার দুপুরে গৃহবধূর বাবা সুভাষ চন্দ্র রায় বাদী হয়ে চরফ্যাসন থানায় মামলাটি দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দহে গৃহবধূর স্বামী কৃষি উপ-সহকারী মানস মজুমদার শাওন ও শশুর কৃষি উপ-সহকারী সমির মজুমদারকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে।

শুক্রবার রাতে চরফ্যাসন থানা পুলিশ শয়ন কক্ষে ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দেয়া ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহবধূ মরদেহ উদ্ধার করে। শনিবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য ভোলা মর্গে পাঠিয়েছেন। নিহত গৃহবধূ চৈতি রায় পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের স্কুল শিক্ষক সুভাস চন্দ্র রায়ের মেয়ে।

মামলা ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, একবছর আগে একই গ্রামের সমির মজুদারের ছেলে কৃষি উপ-সহকারী মানস মজুমদার শাওনের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামীর পরিবারের সদস্যরা তাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। স্বামী শাওন নানা সময় বাবার বাড়ি থেকে টাকা পয়সা এনে দিতে বলতেন।

টাকা এনে দিতে অস্বীকার করলে তাকে প্রায় সময় মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতেন। শুক্রবার বিকালে গৃহবধূর স্বামী শাওন প্রতিবেশী রাখি রানীর বিয়েতে তুজমুদ্দিনে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়। এসময় স্ত্রী চৈতি ও তার সাথে ওই বিয়ে বাড়িতে যেতে চাইলে তাদের বিরোধ বাধে। তখন স্বামী শাওন তাকে মারধর করে। স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে গৃহবধূ চৈতি গলায় ফাঁস দেন।

তবে চৈতির বাবা স্কুল শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র রায় অভিযোগ করেন, মেয়ে তার স্বামীসহ তার পরিবারের সদস্যদের নির্যাতন করে পরিকল্পতভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে শয়ন কক্ষের ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে ঘাতক জামাতা শাওন ও তার পরিবারের সদস্যরা।

পুলিশ হেফাজতে থাকা গৃহবধূর স্বামী মানস মজুমদার শাওন জানান, স্ত্রী চৈতিকে বিয়ে বাড়িতে নিয়ে না যাওয়ার ক্ষোভে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা।

চরফ্যাসন থানার ওসি মো. মনির হোসেন মিয়া জানান, গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা নেয়া হয়েছে। দুইজনকে গ্রেপ্তার করে আলাদতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *