জয়কে অপহরণ ষড়যন্ত্রে বিএনপি নেতার ছেলের কারাদণ্ড

জাতীয়

7c9ee912e97732e6a9e7c411410d0195-images--1-

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অপহরণ করে বড় ধরনের ক্ষতির ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এফবিআইয়ের এক এজেন্টকে ঘুষ দেওয়ায় জড়িত থাকার দায়ে এক বাংলাদেশিসহ দুজনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত।
মার্কিন বিচার বিভাগের বরাত দিয়ে আজ শনিবার বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) জানায়, জেলা জজ ভিনসেন্ট এল ব্রিকেটি গত বৃহস্পতিবার এই দণ্ডাদেশ দেন। দণ্ড পাওয়া দুজনই আদালতের কাছে নিজেদের অপরাধ ও ষড়যন্ত্রের কথা স্বীকার করেছেন।
কারাদণ্ড পাওয়া বাংলাদেশির নাম রিজভী আহমেদ সিজার (৩৬)। তাঁকে ৪২ মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাঁর বাবার নাম মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন। তিনি বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাসাসের সহসভাপতি। তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের কানেটিকাটের ফেয়ারফিল্ড কাউন্টির বাসিন্দা।
কারাদণ্ড পাওয়া অপর ব্যক্তি হলেন জোহান থালের (৫১। ঘুষ দেওয়ায় মধ্যস্থতাকারী এই মার্কিন নাগরিককে ৩০ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে রিজভী দাবি করেন, বিএনপির উচ্চপর্যায় থেকে পাওয়া নির্দেশে এফবিআইয়ের একজন এজেন্টকে পাঁচ লাখ ডলার ঘুষের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জয়ের বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি।
থালের ও রিজভী উভয়েই স্বীকার করেন, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে ২০১২ সালের মার্চ মাসের মধ্যে জয়ের সম্পর্কে এফবিআইয়ের কাছে থাকা তথ্য পাচার করে দেওয়ার জন্য এফবিআইয়ের বিশেষ এজেন্ট রবার্ট লাস্টিকের সঙ্গে তাঁরা পাঁচ লাখ ডলারে চুক্তিবদ্ধ হন।
মার্কিন বিচার বিভাগ জানায়, এই চুক্তির আওতায় এফবিআইয়ের কাছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান ও ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর অর্থ পাচারের যেসব তথ্য রয়েছে, তা-ও সরিয়ে ফেলার প্রতিশ্রুতি দেন ওই এজেন্ট।
ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের লক্ষ্যে থালের ও লাস্টিকের মধ্যে বার্তা বিনিময়ও হয়।
এফবিআইয়ের বিশেষ এজেন্ট লাস্টিককে প্রাথমিকভাবে ৪০ হাজার ডলার ঘুষও দেন থালের ও রিজভী। পুরো কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত লাস্টিককে প্রতি মাসে আরও ৩০ হাজার ডলার করে মোট পাঁচ লাখ ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়।
মামলার প্রধান আসামি এফবিআইয়ের বিশেষ এজেন্ট রবার্ট লাস্টিকের সাজার বিষয়ে শিগগিরই আদেশ দেবেন আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *