চট্টগ্রামে নিত্য পণ্যের দামে আগুন কোনো মতেই থামানো যাচ্ছে না। বাজারে পণ্যের দামে আগুন লেগেই আছে। সকালে এক মূল্য, বিকালে আরেক মূল্য। এমন অবস্থায় জনজীবনে নাভিশ্বাস ওঠছে। নিম্ন-আয়ের, সীমিত আয়ের এবং খেটে খাওয়া মানুষদের জীবন এই এক দ্রব্যমূল্যেই দুর্বিষহ করে তুলছে।
ভুক্তভোগী ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজার মনে হয় কারও নিয়ন্ত্রণে নেই। ফলে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছা মত দাম বাড়াচ্ছে। এমনটি হলে সাধারণ মানুষের জীবনে অন্তহীন দুর্ভোগ নেমে আসবে।
বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাজারে প্রতিকেজি ৭৫ টাকার ছোলা এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, ৮০ টাকার চিনি এখন ৮৫ টাকা, ছোট দানার মসুর ডালে ৫ টাকা বেড়ে ১২০ টাকা, ১৬০ টাকা ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকা। বড় দানার মসুর ডালে ১০ টাকা বেড়ে ১০০ টাকা, ৪০ টাকার পিয়াজ এখন ৫০ টাকা, প্রতিকেজি খোলা আটা ৩৬, প্যাকেটজাত আটা ৫০ ও প্যাকেটজাত ময়দা ৫২ থেকে ৫৫ টাকা, দেশি রসুন ৫০, আমদানি রসুন ১২০, দেশি আদা ১০০ টাকা, প্রতিকেজি শিম ও বেগুন দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ফুলকপি-বাঁধাকপি-শসা ৩০ টাকা, মরিচ ৩০ থেকে ৪০, চাল কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মুলা ২০ এবং গাজর-টমেটো ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫৫ টাকা, পাকিস্তানি কক ২৬০ ও দেশি মুরগি ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫৮০ থেকে ৬৫০ টাকা।
বক্সি হাটের সবজি ক্রেতা মনসুর আলম বলেন, বাজারে প্রতিদিনই পণ্যের দাম বাড়ছে। সকালে যে প্রতিকেজি ৪০ টাকায় কিনি, বিকালে তা হয়ে যাচ্ছে ৫০ টাকা। কিছু বললে ব্যবসায়ীরা বলেন, আমরাও বর্ধিত দামে ক্রয় করছি। মনে হয় এখানে কারো কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।
এখানকার সবজি বিক্রেতা জসিম উদ্দিন বলেন, বাজারে চাহিদার বিপরীতে সবজি সরবরাহ থাকলে দাম নিয়ন্ত্রণে থাকে। সরবরাহ একটু কমলেই দাম বেড়ে যায়। তখন আমাদেরও বেশি দামে ক্রয় করতে হয়।