রাশিয়া ও ইক্রেনের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব সৌদি আরবের

Slider সারাবিশ্ব

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে সৌদি আরব। বিবিসির একটি খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান মস্কো ও কিয়েভের নেতাদের বলেছেন, তিনি সব পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতার চেষ্টা করতে প্রস্তুত রয়েছেন।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে পৃথকভাবে ফোনে কথা বলেছেন সৌদির যুবরাজ। এ ফোনালাপেই মোহাম্মদ বিন সালমান মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেন।

পুতিন ও জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে চলমান সংঘাতের একটি রাজনৈতিক সমাধানের পক্ষে নিজের সমর্থন ব্যক্ত করেন সৌদির যুবরাজ।

জেলেনস্কিকে মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তার দেশে থাকা ইউক্রেনীয় পর্যটক ও বাসিন্দাদের ভিসার মেয়াদ আরও তিন মাস বাড়িয়ে দেবে সৌদি আরব।

সৌদি আরবের গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, মোহাম্মদ বিন সালমানকে পুতিনই ফোন করেছিলেন। এ ফোনালাপের সময় পুতিনকে ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে সৌদি আরবের অবস্থান স্পষ্ট করেন মোহাম্মদ বিন সালমান।

ফোনালাপের বিষয়ে ক্রেমলিনও একটি ভাষ্য প্রচার করেছে। এতে বলা হয়, উভয় নেতা জ্বালানিসংক্রান্ত উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা করেছেন। ওপেক প্লাস জোটের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে তারা তেল উৎপাদনের বিষয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে সমন্বয় অব্যাহত রাখবেন।

ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানের প্রতিক্রিয়ায় বেশ কিছু পশ্চিমা দেশ মস্কোর ওপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহের ইস্যুকে রাজনীতিকীকরণের বিষয়টি যে অগ্রহণযোগ্য, সে কথা ফোনালাপে উল্লেখ করেছেন পুতিন।

সৌদি আরবের আগে ইসরায়েল রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত নিরসনে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছিল। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পুতিনের সঙ্গে এক ফোনালাপে এ প্রস্তাব দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট। পুতিনের সঙ্গে বেনেটের ফোনালাপের উদ্যোগটি ইসরায়েলের পক্ষ থেকেই নেওয়া হয়েছিল।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরু হয়। শুক্রবার এ হামলা নবম দিনে গড়িয়েছে। হামলা আরও জোরালো করেছে রাশিয়া। হামলা থেকে বাঁচতে লাখো মানুষ ইউক্রেন ছাড়ছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, এ সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে।

যুদ্ধ বন্ধে বৃহস্পতিবার ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে দ্বিতীয় দফা বৈঠকে বসেন রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা। কিন্তু সেই আলোচনায় কাঙ্ক্ষিত ফল আসেনি। আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা আবার আলোচনায় বসতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *