বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে যশোরে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, যুগ্ম-সম্পাদক মিজানুর রহমান খান, নগর সাধারণ সম্পাদক মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু প্রমুখের বাড়িতে মোট ৩০টিরও বেশি বোমা মারা হয়েছে।
তবে পুলিশ দাবি করছে, দোলপূজার বাজি ফুটেছে। এদিকে, আজ শুক্রবার দুপুরে স্থানীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তরিকুল ইসলামের পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আনোয়ারুল কবির নান্টু পত্রিকাটির সম্পাদকসহ সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দাবি করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত একটার দিকে দুর্বৃত্তরা প্রথমে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের যশোর শহরের ঘোপ এলাকার বাসায় পাঁচটি শক্তিশালী বোমা নিক্ষেপ করে। বোমার স্পিøন্টারে বাড়ির দোতলার জানালার কাচ ভেঙে যায়। এর কিছু সময় পর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুর উপশহর এলাকার বাড়িতে পাঁচটি, সহ-সভাপতি গোলাম রেজা দুলু, যুগ্ম-সম্পাদক মিজানুর রহমান খান, সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম নয়নের ছেলে বিপ্লব চৌধুরীর বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, তার ভাই সঞ্জয় চৌধুরী, নগর সাধারণ সম্পাদক মুনীর আহম্মেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, পৌরসভার কাউন্সিলর সালাহউদ্দিন আহমেদের বাড়িতে একের পর এক শক্তিশালী বোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা।
এর আগে রাত একটার দিকে জেলা বিএনপির প্রয়াত সভাপতি চৌধুরী শহিদুল ইসলাম নয়নের বড় ছেলে রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বিপ্লবের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বোমা হামলা করে সন্ত্রাসীরা। চৌরাস্তা এলাকার ওয়ান ব্যাংকের সামনের নৈশপ্রহরী জুলকদ হোসেন জানান, একই এলাকার কোতয়ালি থানার সামনে থেকে নয়টি মোটরসাইকেলে তিনজন করে বিপ্লবের বাড়ি এলাকার দিকে যাওয়ার পর দশটির বেশি বোমার শব্দ শোনা যায়। মোটরসাইকেল আরোহীদের সবার কাছে অস্ত্র ছিল।
এছাড়া জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি গোলাম রেজা দুলুর মহিলা কলেজ এলাকার বাড়িতে, সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকনের ধর্মতলা এলাকার বাড়িতে, নগর সাধারণ সম্পাদক মুনির আহমেদ সিদ্দিকীর স্মিথ রোডের বাড়ি এবং পৌরসভার কাউন্সিলর সালাহউদ্দিন এলাকার খালধার রোড এলাকার বাড়িতেও বোমা হামলা করে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার দুপুরে কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার আক্কাস আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি খুলনায় রয়েছি। ভালো বলতে পারব না। প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে বাজি পোড়ানো হয়েছে।