রাশিয়ার ট্যাংক থেকে ছোড়া গোলায় ৭০ জনেরও বেশি ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে। দেশটির রাজধানী কিয়েভ ও দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভের মধ্যবর্তী একটি শহরে ওই গোলাবর্ষণ করে রুশ ট্যাংকবাহিনী। ওখতিরকা নামের ওই শহরটির সেনা ঘাটি টার্গেট করে গোলা ছোড়া হয়। এছাড়া কিয়েভ ও খারকিভেও হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। এ খবর দিয়েছে এপি।
খবরে জানানো হয়েছে, ওখতিরকা অঞ্চলের প্রধান দিমিত্রো জাভায়েৎস্কি টেলিগ্রাম চ্যানেলে এই রুশ হামলার কথা জানিয়েছেন। এতে তিনি ক্ষতিগ্রস্থ ভবনের একটি ছবিও যুক্ত করে দিয়েছেন। এক ফেসবুক পোস্টে পরে তিনি দাবি করেন, রাশিয়ারও অনেক সেনা তারা হত্যা করেছেন এবং রুশ হামলায় স্থানীয় বাসিন্দারাও প্রাণ হারিয়েছেন। তিনি বলেন, আর্টিলারি হামলায় ইউক্রেনের একটি সামরিক ইউনিট ধ্বংস হয়ে গেছে।
ধ্বংসস্তুপ থেকে মৃতদেহ উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। অনেক মানুষ মারা গেছে। এখন ৭০জন ইউক্রেনীয় সৈন্যের জন্য কবরস্থান তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু শত্রুরা যা পাবার তা পেয়ে গেছে। অনেক রুশের মৃতদেহও ছিল। তাদের মৃতদেহ রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। তবে দিমিত্রো জাভায়েৎস্কির দাবি নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে, ইউক্রেনের শিক্ষা এবং সংস্কৃতির কেন্দ্র খারকিভেও পর পর হামলা চালাতে শুরু করেছে রাশিয়ার পদাতিক এবং বিমান বাহিনী। সেনা ঘাঁটির পাশাপাশি বসতি এলাকাগুলিতেও হামলা চালাচ্ছে তারা। মঙ্গলবার ষষ্ঠ দিনে প্রবেশ করেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। ইউক্রেনের দাবি, এই পাঁচ দিনে রাশিয়ার হামলায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩৫০ বেসামরিক নাগরিক। এর মধ্যে রয়েছে ১৪ জন শিশু। এরমধ্যে সোমবার রাতে বেলারুশের কাছে যুদ্ধরত দু’টি দেশ ইউক্রেন এবং রাশিয়ার শান্তি আলোচনার প্রস্তাব ব্যর্থ হয়েছে। তারপর থেকেই রুশ হামলা দ্বিগুণ হারে বেড়েছে ইউক্রেনে।