গাজীপুরের কালীগঞ্জে ‘পরকীয়া’ সম্পর্ক রয়েছে এমন সন্দেহে সোহেল ভূঁইয়া (৩৮) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
নিহতের নাম সোহেল ভূঁইয়া (৩৫)। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরসাদী গ্রামের মৃত ছালাম ভূঁইয়ার ছেলে। নিহতের বাবা বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ছিলেন।
আটতকৃতের নাম-শুক্কুর আলী (৩৮)। সে বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের দক্ষিণবাগ এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে।
নিহতের ছোট ভাই সোহাগ ভূঁইয়াসহ স্বজনরা জানান, কালীগঞ্জের বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের দক্ষিণবাগ এলাকার মৃত মঞ্জুর ভূঁইয়ার মেয়ে জেরিনের সঙ্গে প্রতিবেশী বাহাদুরসাদী গ্রামের সোহেলের সঙ্গে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বছর খানেক আগে পাশর্^বর্তী জামালপুর গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে জেরিনের বিয়ে হয়। এতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে সোহেল। সে প্রায় জেরিনের বাড়ির পাশে গিয়ে বসে থাকতো। শুক্রবার রাতেও গিয়েছিল।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তাই তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক অভিজিৎ দাস জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে গুরুতর আহত সোহেলকে হাসপাতালে আনা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণের পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। কিন্তু ঢাকায় স্থানান্তরের আগেই শনিবার সকাল ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পরে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে।
কালীগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. যোবায়ের বলেন, শনিবার সকালে হাসপাতাল থেকে সোহেল ভূঁইয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের বাম পায়ে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়াও তার ডান পায়ে ও শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের আলামত পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুক্কুর আলী (৩৮) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।