রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের ওপর সরাসরি নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেখানো পথেই হাঁটবে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয় বলে জানিয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা আগে ইইউ পুতিন ও লাভরভের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেয়।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেন, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেইনের সঙ্গে ফোনালাপের পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাভরভ এবং রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো সিদ্ধান্ত নেবে। খুব শিগগিরই এ বিষয়ে বিস্তারিত আরও জানাতে পারব বলে আশা করছি।’
এর আগে বৃহস্পতিবার রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন বাইডেন। সে সময় পুতিনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা না দেওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল তাকে। একদিনে কী এমন পরিবর্তন হলো যে পুতিনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সাকি বলেন, এই সংঘাতের শুরু থেকেই প্রেসিডেন্টের কঠোর দৃষ্টিভঙ্গি এবং কঠোর নীতি, আমার বলা উচিত আগে থেকেই তিনি এমন। আমাদের ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা করে কোনো সিদ্ধান্ত এবং পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি আবারও প্রমাণ হলো।’
এ দিকে হামলার দ্বিতীয় দিন গতকাল শুক্রবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের কাছে পৌঁছে গেছেন রাশিয়ার সেনারা। রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে তারা।