গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। বুধবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ধর্ষকদের গ্রেফতারের দাবিতে বশেমুরবিপ্রবি ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষুপ্ত প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী গোপালগঞ্জ সদর থানায় অবস্থান করে এবং ধর্ষকদের বিচার চেয়ে ৩ দফা দাবি ও আল্টিমেটাম প্রদান করে।
জানা গেছে, গণধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থী তার এক বন্ধুর সাথে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নবীনবাগ নামক স্থানের হেলিপ্যাডের সামনে থেকে হেঁটে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে একটি অটো থেকে তাদের তুলে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ৭/৮ জন মিলে তাদের গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন স্কুল ও কলেজ এর নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যায়। ওই শিক্ষার্থীর সাথে থাকা তার সহপাঠীকে মারধর করে এবং ওই শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণ করে। ওই শিক্ষার্থীকে গোপালগঞ্জ আড়াই শ’ বেড জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রাজিউর রহমান বলেন, এ খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ওই শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলেছি এবং আমি নিজে এঘটনায় বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেছি।
গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ এন্ড অপারেশন) নিহাদ আদনান তাহিয়ান জানান, সন্দেহজনক তিনজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত আছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা ধর্ষকদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।
ধর্ষকদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জস্থ ঘোনাপাড়া নামক স্থানে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, এখন অবরোধ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে স্বানীয় ছাত্রলীগের দুগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পরিস্থিতি একটু উত্তপ্ত হলেও এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।