বিশ্বজুড়ে করোনার তাণ্ডব অব্যাহত রয়েছে। কোনোভাবেই ভাইরাসটির লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ বহু মানুষকে টিকার আওতায় আনার পরও প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ও মৃত্যু কিছুটা কমেছে।
বিশ্বে করোনায় এক দিনে ৫ হাজার মানুষের মৃত্যু
সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১২ লাখ ৭৯ হাজার ৯৭৯ জন। একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে আরও ৫ হাজার ২৭৮ জনের।
এর আগে রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ১৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৮০ জন। একই সময়ে মৃত্যু হয়েছিল ৭ হাজার ৮৮০ জনের।
করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশ সময় সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ কোটি ৪৯ লাখ ৯০ হাজার ২৮৫ জন এবং মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৯ লাখ ৬ হাজার ৯৩ জনে। আর সুস্থ হয়েছেন ৩৫ কোটি ৫ লাখ ১৫ হাজার ৯০৩ জন।
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৮৭ হাজার ৬১৭ জন। এ ছাড়া মোট মৃত্যু হয়েছে ৯ লাখ ৫৯ হাজার ৪১২ জনের।
আক্রান্তে দ্বিতীয় এবং মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় ৪ কোটি ২৮ লাখ ৩৭ হাজার ৯৬০ জন সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ১২ হাজার ১৪১ জনের।
আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত মোট সংক্রমিত হয়েছেন ২ কোটি ৮২ লাখ ৮ হাজার ২১২ জন এবং মোট মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৩৬২ জনের।
আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে থাকা ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ কোটি ২২ লাখ ৮৬ হাজার ৮২৯ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১ লাখ ৩৬ হাজার ৫৯৪ জন।
পঞ্চম স্থানে থাকা যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ১ কোটি ৮৬ লাখ ৫ হাজার ৭৫২ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১ লাখ ৬০ হাজার ৫৮১ জন।
আক্রান্তের তালিকায় রাশিয়া ষষ্ঠ, জার্মানি সপ্তম, তুরস্ক অষ্টম, ইতালি নবম ও স্পেন দশম অবস্থানে রয়েছে। এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৪০তম।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২২৪টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।