হিজাব বা কোনো ধর্মীয় প্রতীক পরে ক্লাস নেয়া যাবে না, কর্তৃপক্ষের এই আদেশের প্রতিবাদে ইস্তফা দিয়েছেন তুমাকুরুর একটি বেসরকারি কলেজের এক অতিথি শিক্ষক। গত তিন বছর ধরে তিনি ওই কলেজে ইংরেজি পড়াতেন। সম্প্রতি কলেজের অধ্যক্ষ তাকে ডেকে হিজাব পরে ক্লাস না নেয়ার নির্দেশের কথা জানান। তার পরই তিনি ইস্তফা দেন।
শুক্রবার হিজাব নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন কর্নাটকের শিবমোগা জেলার একটি স্কুলের ছাত্রীরা। তার পরই তাদের বহিষ্কার করা হলো। অন্তত ৫৮ ছাত্রীকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
যদিও বহিষ্কার হওয়ার পরও দাবিতে অনড় ছাত্রীরা। তাদের সাফ কথা, হিজাব আমাদের অধিকার। আমরা মৃত্যু বরণ করতে রাজি। কিন্তু হিজাবের সাথে আপস করব না।
বহিষ্কার হওয়া ছাত্রীদের অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুল চত্বরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। ওই ছাত্রীদের পাশাপাশি বাকিদের বিরুদ্ধেও ১৪৪ ধারা ভাঙার অভিযোগেও মামলা দায়ের হয়েছে।
প্রশাসনের দাবি, গত তিন দিন ধরেই পুলিশ ও স্থানীয় ‘তহশিলদার’ ছাত্র-ছাত্রীদের হিজাব না পরার নিয়মের কথা জানাচ্ছিলেন।
কর্নাটকে হিজাবের পক্ষে-বিপক্ষে বিক্ষোভ থামার নাম নেই। হিজাব পরে ক্লাস নেয়া যাবে না, কর্তৃপক্ষের এই আদেশের প্রতিবাদে ইস্তফা দিয়েছেন তুমাকুরুর একটি কলেজের এক অতিথি শিক্ষক।
সূত্র : আনন্দবাজার