বরিশাল: বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির দুই দশক পূর্তির বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালার সমাপনী পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সংগঠনের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ জননী সাহান আরা বেগম স্মৃতি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদসহ ১৮ জনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পরে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের মেরুদণ্ড। সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমে আমরা সংশোধন হই, ভালো কাজ করি। আমাদের চার পুরুষের রাজনীতি। আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। আমি আপনাদের সেবা করতে এসেছি। আমৃত্যু সেবা করতে চাই।
তিনি বলেন, সব বিষয়ে আমার নলেজ রয়েছে, কিন্তু এক্সপার্ট না। উন্নত রাষ্ট্রের মতো উন্নত প্রযুক্তির নগর গড়তে চাচ্ছি বরিশালকে। অফিসে আপনারা রেগুলার আমাকে পান না, আমার তো ৯টা থেকে ৫টা চাকরি না। ২৪ ঘণ্টা ডিউটি, রাস্তায় আমাকে পাবেন। আমি নগরে ঘুরে সমস্যা দেখে সমাধান করছি, যেটা নগরবাসী দেখছে।
মেয়র বলেন, আমার প্রতি বরিশালবাসীর ভুল ধারণা ভাঙছে। সত্যকে তো দাবিয়ে রাখতে পারবে না। আমাকে সর্বোচ্চ বাধা দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু আমি নাছোড়বান্দা। আমি উন্নয়ন কাজ করে যাবই। আমার কাজ প্রতি প্রতিহিংসার রাজনীতি করা না। আমার বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করে তাদের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলি।
মেয়র সবার প্রতি আহ্বান করেন ২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে যেন সবাই বরিশাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাসা থেকে খালি পায়ে এসে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বরিশাল জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আহসান হাবীব, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রদীপ কুমার ঘোষ পুতুল।
বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাপ্পী মজুমদারের সঞ্চালনায় ও সভাপতি নজরুল বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মিথুন সাহা।
এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন- বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান খান স্বপন, সুশান্ত ঘোষ, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক স্বপন খন্দকার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামাল মাছুদুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল আহসান, লেখক টুনু রাণী কর্মকার, বরিশাল মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী আবুল কালাম আজাদ।