ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ২১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যাওয়ার রুটম্যাপ চূড়ান্ত করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এক ব্যানারে সর্বাধিক পাঁচজন শহীদ মিনারে যেতে পারবেন।
শুক্রবার আব্দুল মতিন চৌধুরী অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাবি ভিসি ড. মো: আখতারুজ্জামান বলেন, নতুন রুটম্যাপ আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) রাত ৮টা থেকে কার্যকর হবে।
২১ ফেব্রুয়ারি যারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে যেতে চান, তারা স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম হল→ জগন্নাথ হল→ শহীদ মিনার রাস্তা দিয়ে যেতে পারেন এবং একই রাস্তা ব্যবহার করে ফিরে যেতে পারবেন।
অন্যান্য রাস্তা ২০ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা থেকে সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।
যেসব রাস্তা দিয়ে আসা-যাওয়া করা যাবে
মানচিত্র অনুযায়ী, আজিমপুর কবরস্থান সড়ক ও পুরাতন হাইকোর্ট সড়ক, দোয়েল ক্রসিং, বাংলা একাডেমি, টিএসসি ক্রসিং, ভিসির বাসার পাশের রাস্তা, নিউমার্কেট ক্রসিং ও কবরস্থানের উত্তর গেট দিয়ে মানুষ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করতে পারবে।
আজিমপুর ও পলাশী ক্রসিং হয়ে গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ ও ইডেন কলেজের রাস্তা দিয়েও শহীদ মিনারে যাওয়া যাবে।
এছাড়া চানখারপুল এলাকা থেকে বকশীবাজার ক্রসিং হয়ে পলাশী মোড় হয়ে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ও জগন্নাথ হলের সামনের রাস্তা দিয়ে শহীদ মিনারে যাওয়া যাবে।
যে দুটি রাস্তা দিয়ে শুধু প্রস্থান করা যাবে
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর জনসাধারণ শহীদ মিনারের সামনে হয়ে চানখাঁরপুল দিয়ে বের হতে পারবেন। আবার শহীদ মিনার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের সামনে হয়ে দোয়েল চত্বর দিয়েও বের হওয়া যাবে। তবে ওই পথে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না।
যেসব রাস্তা বন্ধ থাকবে
টিএসসি থেকে জগন্নাথ হলের পূর্ব পাশের রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। ভিসি ভবন গেট থেকে ফুলার রোড মোড় পর্যন্ত ও চাঁনখারপুল থেকে কার্জন হল পর্যন্ত রাস্তা জনসাধারণের যাতায়াতের জন্য সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।
ঢাবি ভিসি অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে রাস্তায় প্রতি তিন ফুট পর পর মার্ক করা হবে। প্রতিটি পয়েন্টে হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাওয়া যাবে।
তিনি আরো বলেন, এক ব্যানারে সর্বাধিক পাঁচজনকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের অনুমতি দেয়া হবে। জনসমাগম এড়াতে একবারে দুই দলকে শহীদ মিনারে ওঠার অনুমতি দেয়া হবে। প্রত্যেককে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং মাস্ক পরতে হবে।