আবাসিক হলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নির্যাতনে নিহত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের ২৪তম জন্মদিন আজ।
১৯৯৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী। তার বাবা মো. বরকত উল্লাহ বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। মা রোকেয়া খাতুন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।
আবরার কুষ্টিয়া মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা এবং কুষ্টিয়া জিলা স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। পরে নটর ডেম কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসি পাস করেন। ২০১৮ সালে তিনি বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগে ভর্তি হন।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন চুক্তির সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার জেরে আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। ওই দিনগত রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরদিন ৭ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি।
আবরারের ব্যবহৃত জিনিসপত্র আগলে রেখেছেন তার মা
ওই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান। অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন ও তদন্তে প্রাপ্ত আরও ছয়জন।
আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২০ জনের মধ্যে ১৭ আসামি খালাস চেয়ে জেল আপিল করেছেন।