শাবিপ্রবি (সিলেট): উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ ও অন্যান্য দাবিতে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) আন্দোলনের দীর্ঘ ২৮ দিন পর শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসবেন আন্দোলনকারীরা।
এক সংবাদ সম্মেলনে বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আবেদীন বলেন, গত ৪ সপ্তাহ ধরে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন তার মূল দাবি ছিল ১৬ জানুয়ারির নারকীয় পুলিশি হামলার নির্দেশদাতা উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগ বা অপসারণ। পাশাপাশি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক জহির উদ্দিন আহমদ ও প্রক্টর ড. আলমগীর কবীরকে পদত্যাগের দাবি উঠেছে। ইতোমধ্যে তাদের পদ থেকে অব্যাহতি দিতে বাধ্য হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
তিনি বলেন, শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের আলোচনা হবে। আমরা আমাদের দাবিগুলো তার কাছে উপস্থাপন করবো। এছাড়া আমাদের ওপর ঝুলে থাকা মিথ্যা মামলাগুলো এখনো প্রত্যাহার করা হয়নি। সে বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বলেন, শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী ক্যাম্পাসে আসবেন এতটুকুই জানি। কি নিয়ে আলোচনা হবে তা আমাকে বলা হয়নি। তবে ভিসি স্যার আমাকে ছুটিতে না থেকে ক্যাম্পাসে থাকতে বলেছেন।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাসবলেন, আমরা শুনেছি শুক্রবার ক্যাম্পাসে শিক্ষামন্ত্রী আসছেন। তিনি শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক ও বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করার ইচ্ছে পোষণ করেছেন। আমরাও অধীর আগ্রহ নিয়ে বসে আছি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে।
গত ১৩ জানুয়ারি একটি হলের প্রভোস্টকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। এদিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন এ হলের ছাত্রীরা। পরে ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের কর্মীরা ছাত্রীদের আন্দোলনে হামলা চালালে, পরের দিন হামলার প্রতিবাদ ও একই দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যান শিক্ষার্থীরা। এদিন বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। তখন শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিপেটা, শটগান, গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। ওই দিন রাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস ও হল বন্ধ করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর থেকেই উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।