গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে এক এক করে ১৩ প্রাণীর মৃত্যুর ঘটনায় এবার মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ছায়া তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
বৃহস্পতিবার সমকালকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও তদন্ত কমিটির প্রধান সঞ্জয় কুমার ভৌমিক।
তিনি বলেন, আমাদের অনুরোধে এই ছায়া তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। আমাদেরকে সহযোগিতা করার জন্য এই কমিটি করা হয়।
ফুলবাড়িয়া পশু হাসপাতালের প্রধান ডা. সারোয়ার আলমকে প্রধান করে গঠিত এই কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানার ভেটেরিনারি চিকিৎসক নাজমুল আলম এবং সুখেশ চন্দ্র বৈদ্য।
এদিকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের গঠিত পূর্বের কমিটির সদস্য সংখ্যা এবং কাজের সময় বাড়ানো হয়েছে। পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট ওই কমিটিতে আরও তিন সদস্য যোগ করা হয়েছে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে বলে জানান কমিটির প্রধান সঞ্জয় কুমার ভৌমিক।
কমিটির নতুন সদস্যরা হলেন- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি অনুষদের অধ্যাপক মো. আবু হাদী নূর আলী খান, কেন্দ্রীয় রোগ অনুসন্ধান গবেষণাগারের (সিডিআইএল) প্রধান গোলাম আজম চৌধুরী ও জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি হিসেবে একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক।
এছাড়া পূর্বে বেঁধে দেওয়া ১০ কার্যদিবসের মেয়াদ শেষ হয়েছে বুধবার। পরে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার আরও ১০ দিন সময় বাড়ানো হয়।
এদিকে বুধবার সাফারি পার্কের ১৩ প্রাণীর মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বোর্ডের সদস্যরা জরুরি এক বৈঠকে করেছেন।
এদিন বিকেলে সাফারি পার্কের ঐরাবতী বিশ্রামাগারে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটিতে নতুন যোগ হওয়া সদস্যরাও অংশ নিয়েছেন। তবে বৈঠকে কি কি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে সে সম্পর্কেও কিছু জানা যায়নি। কোনো গণমাধ্যম কর্মীকেও ঐরাবতী বিশ্রামাগারের দিকে যেতে দেওয়া হয়নি। বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য কিংবা চিকিৎসক বোর্ডের কেউ কোনো মন্তব্যও করেননি।