গণতন্ত্রের প্রতি অসামান্য অবদানের জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ‘মাদার অফ ডেমোক্র্যাসি’ (গণতন্ত্রের মা) সন্মাননা দিয়েছে কানাডিয়ান মানবাধিকার সংস্থা- হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (সিএইচআরআইও)।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে সিএইচআরআইও’র দেয়া ক্রেস্ট ও সনদপত্র সাংবাদিকদের কাছে উপস্থাপন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা অত্যন্ত আনন্দের সাথে আপনাদেরকে জানাতে চাই যে গণতন্ত্রের প্রতি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অসামান্য অবদান এবং তিনি যে এখনো গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য কারাবরণ করছেন, অসুস্থাবস্থায় গৃহবন্দী অবস্থায় আছেন- এসব কারণে কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গাইনাইজেশন (সিএইচআরআইও) তাকে ‘মাদার অফ ডেমোক্র্যাসি অ্যাওয়ার্ড’ দিয়েছে।”
‘এখানে কানাডিয়ান হাইকমিশনও এটাকে এনডোর্স করেছে,’ জানান তিনি।
গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। গতকাল সোমবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্তসমূহও এই সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যেতে হয়। দুই বছর কারাবাসের পর করোনা মহামারীর প্রাক্কালে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকারের বিশেষ বিবেচনায় শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পান তিনি। এরপর থেকে তিনি গুলশানের বাসায় আছেন।
এর মাঝে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ৮১ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ১ ফেব্রুয়ারি তার গুলশানের বাসা ফিরোজায় ফিরে যান।