বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক থামছেই না। নির্বাচনী আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ। আপিল বিভাগের চেয়ারম্যান পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান আজ শনিবার বিকেলে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে অভিযোগকারী ও অভিযুক্তদের নিয়ে সভা ডেকেছেন। তবে সভায় হাজির হবেন না বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী প্রার্থী জায়েদ খান। ২৯ জানুয়ারি আপিল বিভাগের মেয়াদ শেষ। তাই অবৈধ কমিটির সিদ্ধান্ত মানতে চান না তিনি।
জায়েদ খান জানান, ‘আমি কেন অবৈধ কমিটির কাছে যাব। আর গেলেইবা কী। যে রায় হবে, তাতে আমার কিছুই যায়-আসে না। কারণ তারা অবৈধ কমিটি। তাদের চ্যালেঞ্জ করতে হলে আদালতে যেতে হবে। ২৯ জানুয়ারি আমাকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। তারপরও তারা যদি এটি নিয়ে লড়তে চান, সেটা আদালতে হবে। আপিল বোর্ডের কোনো কার্যকারিতাই নেই। আমার আইন উপদেষ্টা একই কথা বলছেন।’
মেয়াদ শেষের পরও সভা ডাকার বিষয়ে আপিল বোর্ডের সদস্য মোহাম্মদ হোসেন জানান, ‘২৮ জানুয়ারিই ভোটের ফলাফল দেওয়ার নিয়ম, ২৯ জানুয়ারি ফল ঘোষণা হলো কেন? আমাদের কাছে অনেক যুক্তি আছে। কিন্তু সেদিকে যাচ্ছি না। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ আমরা পালন করে কাজ শেষ করতে চাই।’
উল্লেখ্য, ভোট কেনাবেচার অভিযোগ তুলে সমিতির নির্বাচনী আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন নিপুণ। সেই আবেদনের প্রেক্ষাপটে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে জেলা সমাজসেবা কার্যালয় হয়ে আপিল বিভাগের কাছে গত মঙ্গলবার একটি নির্দেশনামূলক চিঠি আসে। চিঠিতে সাধারণ সম্পাদক ও কার্যকরী পরিষদ সদস্য পদের ফলাফল নিয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে আপিল বিভাগের চেয়ারম্যানের ওপর।