লালপুর (নাটোর): নাটোরের লালপুরে পদ্মা নদীতে পলো দিয়ে চলছে মাছ ধরা উৎসব। প্রায় প্রতি বছরই শীতের শেষে মাঘ মাসে পদ্মা জেগে থাকা দামুস বা নদীর হাঁটু পানিতে চলে এভাবে মাছ ধরার উৎসব। সম্প্রতি এ উৎসব শুরু হয়েছে বিলমাড়ীয়া বাজারসংলগ্ন পদ্মার দামুস বা হাঁটু পানিতে দলবেঁধে উপজেলার কদমচিলান, চাঁদপুর, মোহরকয়া, মোমিনপুর, বড়াইগ্রামের বনপাড়া, রাজশাহীর বাঘার বাউসাসহ বিভিন্ন গ্রামের শত শত মানুষ মাছ ধরতে নেমে পড়েছে। বাঁশ ও জাল দিয়ে তৈরি ছোট বড় অসংখ্য পলো নিয়ে কেউ গেঞ্জি কেউ খালি গায়ে লুঙ্গি অথবা পায়জামা পরে পানিতে নেমে পড়েন। তাদের পলোতে ধরা পড়ে রুই, কাতলা, মৃগেল, টেংরা, শোল, টাকি, শিং, মাগুর, কইসহ বিভিন্ন দেশীয় জাতের মাছ। আগে থেকেই এসব এলাকায় মাছ ধরার ঘোষণা দেয়া হয়। খবর পেয়ে এলাকার শৌখিন ও পেশাদার শিকারিরা মাছ ধরতে আসেন। এটি এই অঞ্চলের বহুদিনের ঐতিহ্য। বংশ পরম্পরায় চলে আসছে এভাবে মাছ ধরা। আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের শত শত মানুষ আসেন মাছ ধরার এই উৎসবে অংশ নিতে। মাছ ধরার এই উৎসব দেখতে ভিড় করেন উৎসুক স্থানীয় গ্রামবাসী।
মাছ ধরা উৎসবে অংশ নেয়া লালপুর উপজেলার মোহরকয়া গ্রামের সাজদার রহমান বলেন, ‘আমি পেশায় একজন কৃষক। প্রতি বছরের শীতের এ সময়ে নদীর পানি কমে যায়। তখন আশপাশের গ্রামের মানুষ একসাথে মিলেমিশে পলো দিয়ে মাছ ধরি। এ মাছ ধরতে আমার মতো অনেক শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নিয়ে থাকেন।’
বিলমাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় বাসিন্দা মজিবুল হক বলেন, শীতকালের শেষের দিকের প্রতি বছরই মাছ ধরার উৎসব হয়ে থাকে। এবারে শীত একটু বেশি হওয়ায় মাছের পরিমাণ কম। তা ছাড়া নদী শুকিয়ে যাওয়ায় মাছ ধরার জায়গা কমে গেছে।