ঢাকা মুন্সীগঞ্জের বীথি আক্তার। ২০০৯ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারি বিয়ে করেন ঢাকার কদমতলী এলাকার আমিনুল হককে। স্বামীর সঙ্গে ঢাকায়ই বসবাস করতেন। বীথি-আমিনুলের সংসারে ২ ছেলে ও ১ মেয়ে। সুখেই ছিল তাদের সংসার। তবে গত বছরের শেষদিকে বীথি মুন্সীগঞ্জের বাপের বাড়িতে বেড়াতে যান। এরপর থেকেই তার চলাফেরা ও ব্যবহারের ধরন বদলে যায়। হঠাৎ গত ২৬শে ডিসেম্বর আমিনুলকে তালাকের নোটিশ পাঠান।
তালাকের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন, স্বামী শারীরিক-মানসিক নির্যাতন করে এবং স্ত্রীর মর্যাদা দেন না। গত বছরের ৬ই নভেম্বর রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার ফারিয়া আক্তারের সঙ্গে বিয়ে হয় একই এলাকার রাসেল উদ্দিনের। বিয়ের ২ মাসের মাথায় স্বামীকে তালাকের নোটিশ পাঠান ফারিয়া। চলতি বছরের ৯ই জানুয়ারি স্ত্রী কর্তৃক তালাকের নোটিশে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়া, মনের মিল না হওয়া, খোঁজ-খবর না নেয়া, খোর-পোষ না দেয়া। শুধু বিথি কিংবা ফারিয়া নয়, রাজধানীতে প্রতিদিনই ঘটছে বিবাহ বিচ্ছেদ। গত বছর ১১ হাজার ৯১৯ টি বিবাহবিচ্ছেদ ঘটেছে। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় সর্বোচ্চসংখ্যক তালাক কার্যকর হয়েছে। যার সংখ্যা ৭ হাজার ২৪৫টি। আর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ৪ হাজার ৬৭৪ টি তালাক কার্যকর হয়েছে। যদিও এই সময়ে ঢাকা উত্তরে তালাকের আবেদন পড়েছে ৭ হাজার ৪১৬ টি। এর মধ্যে পুরুষ কর্তৃক আবেদন পড়েছে ১৭৬২টি, স্ত্রী কর্তৃক ৪ হাজার ৮১টি এবং আবেদন প্রত্যাহার হয়েছে ১৮৭টি।
অপরদিকে ২০২০ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে ৯ হাজার ৭৮৭ টি। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ৬ হাজার ৩৪৫ টি, উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ৩ হাজার ৪৪২ টি। ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে বিবাহ বিচ্ছেদ বেড়েছে ২ হাজার ১৩২ টি। গত বছরের বিবাহবিচ্ছেদের তালিকা অনুয়ায়ী রাজধানীতে গড়ে প্রতিদিন ৩৩ জনের তালাক কার্যকর হচ্ছে। অর্থাৎ প্রতি ৩ ঘণ্টায় ৪ টি বিবাহবিচ্ছেদ ঘটছে। এছাড়া ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে বিবাহ বিচ্ছেদ বেড়েছে প্রায় ২২ শতাংশ। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী তালাকের নোটিশ স্বামী কিংবা স্ত্রীর বসবাসরত এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা অথবা সিটি করপোরেশনে পাঠানোর বিধান রয়েছে। সে অনুযায়ী রাজধানীর আওতাধীন এলাকায় বসবাসরতদের তালাকের নোটিশ ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রের কার্যালয়ে পাঠানো হয়। প্রথমে মেয়রের কার্যালয়ে তালাকের আবেদন নথিভুক্ত হয়। তারপর সেখান থেকে আবেদন মূলত স্ত্রী/স্বামী কোন অঞ্চলে বসবাস করছেন, সেই অনুযায়ী ওই অঞ্চলের কার্যালয়ে পাঠানো হয়।
বিচ্ছেদে পুরুষের তুলনায় নারীরা এগিয়ে: তালাকের নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বিবাহবিচ্ছেদের আবেদনে স্বামীদের তুলনায় এগিয়ে স্ত্রীরা। গত এক বছরে মোট বিবাহবিচ্ছেদের ৭১ শতাংশই স্ত্রী কর্তৃক। অন্যদিকে স্বামী কর্তৃক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ স্বামীর তুলনায় আড়াইগুণ বেশি বিচ্ছেদে এগিয়ে রয়েছেন স্ত্রী। ২০২১ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে নথিভুক্ত বিবাহবিচ্ছেদের সংখ্যা ৭ হাজার ২৪৫টি। এর মধ্যে স্ত্রী কর্তৃক বিচ্ছেদের সংখ্যা ৫ হাজার ১৮৩ ও স্বামী কর্তৃক বিচ্ছেদের সংখ্যা ২০৬২ টি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে প্রাপ্ত নোটিশের সংখ্যা ৭ হাজার ৪১৪টি। এর মধ্যে স্বামী কর্তৃক ১ হাজার ৭২২টি, স্ত্রী কর্তৃক ৪ হাজার ৮১টি। মোট বিচ্ছেদ কার্যকর হয়েছে ৪৬৭৪ টি । ডিএনসিসি’র সংরক্ষণে থাকা ২০১১ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৪০ হাজার ৪০০ টি বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। এই সময়ে তালাকের নোটিশ দিয়েছে ৫২ হাজার ৯শ’ ৮টি। পুরুষ কর্তৃক নোটিশ দিয়েছে ১৬ হাজার ৮৬৬ টি। স্ত্রী কর্তৃক ৩৪ হাজার ৪৬৫ টি। যা মোট সংখ্যার দ্বিগুণের বেশি। এই সময়ে নোটিশ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ১ হাজার ২০৫ টি।
উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকা থেকে দক্ষিণে বিচ্ছেদ বেশি: সিটি করপোরেশনের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকা থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় বিবাহবিচ্ছেদ বেড়েছে। ২০১৯ সালে ঢাকা উত্তরে বিচ্ছেদ হয়েছে ৪ হাজার ৬৭৭ টি, অন্যদিকে দক্ষিণ সিটিতে ৬ হাজার ৩৬০ টি। ২০২০ সালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে বিচ্ছেদ হয়েছে ৩ হাজার ৪৪২ টি, দক্ষিণ সিটিতে ৬ হাজার ৩৪৫ টি। ২০২১ সালে ডিএনসিসিতে ৪ হাজার ৬৭৪টি, অপরদিকে ডিএসসিসিতে ৭ হাজার ২৪৫ টি।
বিবাহবিচ্ছেদে গৎবাঁধা কারণ: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে পাওয়া ২৮টি তালাক নোটিশ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বিবাহবিচ্ছেদে ঘুরে ফিরে একই কারণ দেখিয়েছেন আবেদনকারীরা। প্রাপ্ত আবেদন পত্রের ২৩ টিতে দেখা যায় এগুলো একটি ছক আকারে তৈরি। যা আইনজীবীদের কাছে আগে থেকেই তৈরি থাকে। তালাকের কারণগুলো আগেই প্রিন্ট করা। শুধু নাম ঠিকানার স্থান খালি রাখা হয়। সেখানে তালাক দাতা ও গ্রহীতার নাম ঠিকানা হাতে লিখে দেয়া হয়েছে। বাকি ৫টিতে আইনজীবীর তৈরি ফরমে তালাকের কারণগুলো কলম দিয়ে লিখে দেয়া হয়েছে। আবেদনগুলোতে তালাকের কারণ হিসেবে বেশির ভাগই ছিল স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা না হওয়া। স্ত্রীর করা আবেদনে কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে- ভরণ-পোষণ না দেয়া, স্বামীর সন্দেহবাতিক মনোভাব, ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিবাহবন্ধনে আবব্ধকরণ, কাবিন না হওয়া, মাদকাসক্তি, পুরুষত্বহীনতা, স্ত্রীর ওপর নির্যাতন, যৌতুক, মানসিক পীড়ন, পরকীয়া, আর্থিক সমস্যা, ও ব্যক্তিত্বের সংঘাত। অন্যদিকে স্বামীরাও তাদের নোটিশে উল্লেখ করেছেন, পরকীয়া, আর্থিক সক্ষমতা কমে যাওয়া, বেপরোয়া জীবনযাপন, বদমেজাজ, সংসারের প্রতি উদাসীনতা, সন্তান না হওয়া, অবাধ্য হওয়া, টিকটকসহ সামাজিক মাধ্যমে অবাধ বিচরণ করা, ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী না চলাসহ বিভিন্ন কারণের কথা উল্লেখ করা হচ্ছে। সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক কর্মকর্তারা বলছেন- তালাকের যেসব আবেদন সিটি করপোরেশনে জমা পড়ে, তার সবগুলো একই রকম। মাঝে-মধ্যে দু’-একটি কারণ এদিক-ওদিক হয়। আইনজীবীরা শুধু সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর নাম, পরিচয় বদলে একই ধাঁচে আবেদন করে থাকেন। যার ফলে তালাক নোটিশে ঘুরে-ফিরে একই কারণ দর্শানো হয়। সমাজবিশ্লেষকরা এটিকে গৎবাঁধা হিসেবেও দেখছেন। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের জেরিন আক্তার গত বছরের ২৭শে ডিসেম্বর তালাকের আবেদন করেন। তিনি বলেন, স্বামীর সঙ্গে বনিবনা হয় না, যৌতুক দাবি করে, অকারণে শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন করে। তাই বাধ্য হয়েই তালাক দিয়েছি। মোহাম্মদপুরের হাসান আল মাসুদ গত ১৮ই জানুয়ারি স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন। তিনি বলেন, বিবাহের পর থেকে আমাদের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় দাম্পত্য সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। এক পর্যায়ে স্ত্রী সংসার ত্যাগ করে ৪ বছর ধরে তার বাবার বাড়িতে থাকে। বিভিন্ন মাধ্যমে জেনেছি আমার বন্ধুর সঙ্গে সে পরকীয়ায় যুক্ত হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। ফোনেও আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেনি। এতে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তালাকের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তানজিদ আহমেদ নামের আরেকজন বলেন, স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা হয় না। সব সময় অবাধ্য থাকে। যা ইসলামী শরীয়তের পরিপন্থি। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে আমি বাসায় না থাকলে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় যুক্ত হয়ে লাইভে যুক্ত হয়। ফেসবুক লাইভ করে অচেনা ও অজানা পর পুরুষের সঙ্গে আড্ডা দেয়। এতে আমি বাসায় এলে সে খারাপ ব্যবহার করে। অসংখ্যবার সতর্ক করার পরেও তার কোনো পরিবর্তন হয়নি। এতে বাধ্য হয়ে ডিভোর্স দিয়েছি।
বিচ্ছেদ নোটিশে সাড়া দেয় না কেউ: বিচ্ছেদের আবেদন পেলেই সংশ্লিষ্টকে নোটিশ করে সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক কর্মকর্তারা। তবে এসব নোটিশের সাড়া দেয় না কোনো পক্ষই। স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে যে কেউ আবেদন করলে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে তালাকের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার আগে নোটিশ দেয়া হয়। তবে নোটিশ পেয়েও অনেক সময় উভয়পক্ষই অনুপস্থিত থাকেন। অনেক সময় স্ত্রীর আবেদনের নোটিশে স্বামী উপস্থিত হন না, স্বামীর নোটিশে স্ত্রীও আসেন না। ফলে উভয়ের মধ্যে যে বিবাদ তা মীমাংসা হচ্ছে না। এতে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে তালাক কার্যকর হয়ে যাচ্ছে। দুই সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক কর্মকর্তারা বলছেন, তালাকের আবেদন পেলে আবেদনকারী ও বিবাদী দুই পক্ষকেই প্রথমে আপসের নোটিশ পাঠানো হয়। দুই পক্ষের মধ্যে আপস না হলে করপোরেশনের আর কোনো দায়দায়িত্ব থাকে না। আইন অনুযায়ী আবেদনের ৯০ দিনের মধ্যে কোনো আপস কিংবা তালাকের আবেদন প্রত্যাহার না করলে তালাক কার্যকর হয়ে যায়।
সমাজ বিশ্লেষকরা যা বলছেন: বিগত কয়েক বছর ধরে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই বেশি তালাক হচ্ছে। বর্তমান সময়ে ফেসবুক ও মোবাইল ফোনে অযাচিত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন অনেকে। এতে শারীরিক অক্ষমতাকেও দায়ী করেছেন কেউ কেউ। এছাড়া শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, যৌতুক, মনোমালিন্য, পারস্পরিক আস্থা ও নির্ভরশীলতার অভাব, মাদকাসক্তি, বাড়তি অর্থনৈতিক চাহিদাও কারণ হিসেবে রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে নারীরাই বেশি আবেদন করছেন। করোনাকালীন সময়ে চাকরি হারিয়ে অনেকেরই পরিবারের ভরণ-পোষণ চালাতে না পারা, ব্যবসায় লস, পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন এবং যোগাযোগ কমে যাওয়া। মনস্তাত্ত্বিক এই চাপ দাম্পত্য কলহ ও সংকটকে প্রভাবিত করছে। পারিবারিক কলহের জেরে বেড়েছে বিচ্ছেদের ঘটনা। অপরদিকে, ডিজিটাল সেবা সমপ্রসারণের কারণে অধিকার সম্পর্কে অনেকেই সচেতন। নারীরাও উপার্জনক্ষম। ফলে উপার্জনের বিষয়ে আগে ছেলেদের উপর নির্ভরশীলতা থাকলেও বর্তমানে সব বদলে যাচ্ছে। নারীরা আগের মতো মুখ বুজে সবকিছু মেনে নিচ্ছেন না। তারা শিক্ষা এবং অর্থনৈতিকভাবে সংহত হচ্ছেন। ফলে নির্যাতন গোপন করে সংসারে মুখ বুজে পড়ে থাকছেন না। নারীরা কর্মমুখী হওয়ায় নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছেন। ফলে পারিবারিক কলহ থেকে নিজেকে বাঁচাতে ডিভোর্স নিচ্ছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহ্ এহসান হাবীব বলেন, বিবাহবিচ্ছেদ বাড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে পারিবারিক কলহ ও অর্থনৈতিক সমস্যা। এই দাম্পত্য কলহ ও সংকট ব্যক্তিকে মনস্তাত্ত্বিকভাবে প্রভাবিত করে। ফলে বিচ্ছেদ বাড়ছে। বিশেষ করে করোনাকালীন সময়ে তালাকের প্রবণতা বাড়ার নানা কারণ রয়েছে। করোনাকালীন সময়ে মানুষকে সবসময় বাসা-বাড়িতে অবস্থান করতে হয়েছে। এতে তাদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে। পুরুষরা অনেক সময় তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ করেছেন। চারপাশের পরিবেশগুলো অনেক সময় তাদের অনুকূলে কাজ করেনি। সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। তিনি বলেন, করোনায় অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন, ব্যবসা-বাণিজ্যে লোকসানে পড়েছেন। এতে তারা ভেঙে পড়েছেন। ফলে অর্থনৈতিক ও মনস্তাত্ত্বিকভাবে ভেঙে পড়ায় পরিবারের উপর এসবের প্রভাব পড়েছে। অনেকেই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে না পেরে ডিভোর্সের দিকে ধাবিত হয়েছেন। ড. শাহ এহসান হাবীব বলেন, এসব ক্ষেত্রে পরিবার ও সমাজ এগিয়ে এলে অনেক সময় সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়। পরিবারে শান্তি বজায় রাখতে নিকটাত্মীয়দের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কারণ আমরা শুধু একটি বিবাহবিচ্ছেদ কিংবা তালাকই দেখি। এর বাহিরে যারা ডিভোর্সের শিকার হন, তাদের সমস্যাগুলো দেখি না। তারা কোন পরিবেশের মধ্য দিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেন তা দেখতে হবে। এজন্য পারিবারিক বন্ধন টিকিয়ে রাখতে ধৈর্যের বিকল্প নেই।