রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী মাহমুদ হাবিব হিমেল নিহতের ঘটনায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে শিক্ষার্থীদের ৭ দফা দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে রাতের মতো আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা।
তবে আগামীকাল বুধবার সকাল ১০টায় আবারও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের নেতারা।
এর আগে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হবিবুর রহমান হলের সামনে নির্মাণাধীন একটি ভবনের কাজে ব্যবহৃত ট্রাকের চাপায় নিহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাফিক্স ডিজাইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী হিমেল।
নিহত হিমেলের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের পদত্যাগসহ ৭ দফা আন্দোলনে নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের থাকা সাতটি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়াও নির্মাণাধীন একটি বিজ্ঞান ভবনে আগুন ধরিয়ে দেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়কগুলোতে মিছিল করে উপাচার্য বাসভবনের সামনে অবস্থানকালে উপাচার্য বাস ভবনের প্রধান ফটকেও হামলা করেন কয়েকজন আন্দোলনকারী।
তবে রাত দেড়টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার, উপ উপাচার্য চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়া ও অধ্যাপক ডক্টর সুলতান উল ইসলাম টিপুসহ প্রশাসনের অন্যান্য শিক্ষকরা। সেখানে শিক্ষার্থীদের দেয়া ৭ দফা দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন উপাচার্য। আশ্বাস পেয়ে আন্দোলন স্থগিত করেন তারা।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি শাকিলা খাতুন বলেন, হিমেলের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ না দেওয়া পর্যন্ত তারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লাশ নিয়ে যেতে দিবে না। এজন্য আগামীকাল সকাল ১০টা থেকে তারা আবারও আন্দোলন শুরু করবেন।