অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের কাছে ৫ উইকেটে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেল বাংলাদেশের যুবারা।
ভারতের কাছে হেরে বিশ্বকাপ শেষ বাংলাদেশে
কোয়ার্টার ফাইনালেই থেমে গেলো আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বিশ্বকাপ মিশন। সেমির লড়াইয়ে ভারতের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে বাংলার যুবারা।
আগে ব্যাট করে, ব্যাটিং ব্যর্থতায় মোটে ১১১ রানে গুটিয়ে যায় ইয়াং টাইগার। জবাবে রিপন মন্ডলের দারুণ বোলিংয়ের পরেও ৫ উইকেট খুঁইয়ে লক্ষে পৌঁছে যায় টিম ইন্ডিয়া।
উচ্ছ্বাস থেকে বিষাদ। অসীম সম্ভাবনা থেকে যেন শূন্যে পতন। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ, মধ্যখানে সময় পেরিয়েছে মোটে দুই বছর। আকবর-ইমনদের মতো মাথা উঁচু করে নয়, নত-মস্তকে রিপন-রাকিবুলের প্রস্থান-ই বলে দেয়, টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের প্রাপ্তি। শিরোপা ধরে রাখার স্বপ্ন নিয়েও কোয়ার্টার থেকেই মলিন মুখে বিদায়।
এ তো গেলো ম্যাচ শেষের গল্প। শুরু থেকে মধ্যখান কোথাও ছিলোনা স্বস্তি। কলিজ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলার যুবারা মানসিকভাবে ম্যাচটা যেন হেরে গেছে ওখানেই। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই রাভি কুমারের বলে বোল্ড আউট হয়ে বোকা বনে মাহফিজুল।
আশার সলতে ছিল দ্বিতীয় বিশ্বকাপ খেলতে নামা নওরোজ নাবিলের হাতে। তবে তা নিভতে সময় লাগেনি বেশিক্ষণ। হতাশ করেছেন ইফতেখারও। দুজনের হন্তারকও রাভি কুমার।
আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি আরিফুল, রাকিবুল, ফাহিমরা। একেকজনের আউট হওয়ার ধরন অন্যজনের চেয়েও দৃষ্টিকটু। মাঝে চেষ্টা করেছিলেন আইচ মোল্লা। কিন্তু ব্যক্তিগত ১৭ রান করে রান আউটে আইচ কাটা পড়লে শতরানের নিচেই অল-আউটের শঙ্কা জাগে বাংলাদেশের।
সেখান থেকে ৮ম উইকেটে ৫০ রানের পার্টনারশিপ আসে মেহেরব-আশিকের ব্যাটে। শেষ তিন উইকেট বাংলাদেশ হারায় ৫ রানে। ইয়াং টাইগাররা থামে ১১১ করে। ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮ আসে অতিরিক্ত খাতে।
জবাব দিতে নেমে বাংলার শুরুটাও হয় স্বপ্নের মতো। শূন্য রানেই হারনুর সিংকে ফিরিয়ে তেড়েফুঁড়ে সূচনা করেন তানজিম সাকিব। তবে সে উল্লাসে টান পড়ে দ্রুতই। সেটা রাশেদ-রঘুবংশীর ব্যাটে।
বাংলার গল্পের বাকিতে রিপন মন্ডলের দাপট। এই সিমার একাই জমিয়ে তোলার আভাস দিয়েছিলেন ম্যাচটা। তুলে নিয়েছিলেন আরও চার ভারতীয় ব্যাটার। তবে শেষ রক্ষা হয়নি।
মিডল অর্ডারে ক্যাপ্টেন অধিনায়ক ইয়াশ ধুলের আনবিটেন ২০ রানে ১১৫ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত। টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেওয়া বাংলাদেশ এখন খেলবে স্থান নির্ধারণী ম্যাচ।