ঢাকা: আপিল করেও জয় পেলেন না চিত্রনায়িক নিপুণ আক্তার। জায়েদ খানকে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আপিল বিভাগও জয়ী ঘোষণা করেছে।
শনিবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সাধারণ সম্পাদক পদের ভোট পুনর্গণনায় গণনা করে এই ঘোষণা দেন আপিল বিভাগের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান।
এর আগে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে চিত্রনায়ক জায়েদ খানকে বিজয়ী ঘোষণা করার ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। পরে নির্বাচনের ফল চ্যালেঞ্জ করে আপিল করলে ভোট পুনরায় গণনা করা হয়।
শনিবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে এফডিসিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অভিযোগ করে নিপুণ বলেন, ‘আমাকে অসহযোগিতা করা হয়েছে। আমার ১৬টি ভোট নষ্ট হয়েছে কীভাবে? এই ভোট কাস্টিং করে দিলেই আমি ২ ভোটে জিতে যাবো। আরেকটা কথা বলছে চাই, প্রশাসন আমাকে অসহযোগিতা করেছে। ’
জানা যায়, ভোট পুনর্গণনার সময় আপিল বিভাগের সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন, নিপুণ আক্তার, জায়েদ খান ও জয় চৌধুরী।
এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্বাচনের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান। তিনি জানান, সম্পাদকীয় পরিষদে ২৬টি নয়, ২৩টি ভোট নষ্ট হয়েছে। এরমধ্যে নিপুণের ১৪টি ভোট। বাকিগুলো জায়েদের।
ইতোমধ্যে নিপুণ ছাড়াও এফডিসিতে প্রবেশ করেছেন ইলিয়াস কাঞ্চনসহ তাদের প্যানেলের কয়েকজন প্রার্থী। তবে এ বিষয় নিয়ে কেউ কোনো কথা বলেননি।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পরিসংখ্যান নিয়ে হচ্ছে আলোচনা। সেখানে দেখা যায়, নির্বাচনে জায়েদ খান পেয়েছেন ১৭৬ ও নিপুণ পেয়েছেন ১৬৩ ভোট। দু’জনে মিলে পেয়েছেন ৩৩৯ ভোট। নির্বাচন কমিশনারের ব্রিফিং অনুযায়ী ভোট কাস্ট হয়েছে- ৩৬৫টি। ভোট বাতিল হয়েছে-১০, অর্থাৎ কার্যকরী ভোট ৩৫৫।
কিন্তু নিপুণ ও জায়েদ মিলে মোট ৩৩৯ ভোট আর সঠিক ভোট ৩৫৫! তাহলে হাতের বাকি ১৬ ভোট কোথায় গেল? এটা নিয়ে সরগম চলচ্চিত্রাঙ্গনও!
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) এফডিসিতে সকাল ৯টা ১২ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিট পর্যন্ত শিল্পী সমিতির ভোটগ্রহণ চলে। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করা হয় শনিবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৬টায়।