ভাঙ্গা (ফরিদপুর): ফরিদপুরে ভাঙ্গার কালামৃধা ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান রিজাউল মাতুব্বর (৪৪) দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার আগেই প্রতারণার মামলায় কারাগারে গিয়েছেন। এ কারণে বিপাকে পড়েছে ইউনিয়ন পরিষদের সেবা গ্রহণকারী ব্যক্তিরা। এ ব্যাপারে করণীয় জানতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
ইউপি চেয়ারম্যান রিজাউল মাতুব্বর ভাঙ্গা উপজেলার কালামৃধা ইউনিয়নের মিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তার নামে ভাঙ্গা থানাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় প্রতারণাসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
গত ২৭ নভেম্বর ভাঙ্গা উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে কালামৃধা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী রিজাউল মাতুব্বর ঘোড়া প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নেন। ৩ জানুয়ারি প্রতারণা মামলায় ঢাকার একটি আদালতে হাজিরা দিতে গেলে তার জামিন না মঞ্জুর হয়।
ভাঙ্গা থানার পরিদর্শক বিকাশ মন্ডল জানান, কালামৃধা ইউপি চেয়ারম্যান রিজাউল মাতুব্বরের নামে ভাঙ্গা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একাধিক প্রতারণার মামলা রয়েছে। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।
ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিম উদ্দিন বলেন, রিজাউল মাতুব্বর শপথ গ্রহণের পরে দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার আগেই কারাগারে গিয়েছেন। গত ২৩ জানুয়ারি ছিল দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার শেষ দিন। প্রথম সভা না হওয়ায় এখনও প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচন করা যায়নি। এতে সেবা গ্রহীতারা বিপাকে পড়েছে। আমি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়েছি। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি।
কালামৃধা ইউনিয়নের বর্তমান ও সাবেক একাধিক জনপ্রতিনিধি জানান, নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান রিজাউল মাতুব্বর মোবাইলের মাধ্যমে প্রতারণার অভিযোগে বিভিন্ন সময়ে র্যাব ও পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে।