চায়ের রাজধানী খ্যাত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে মাঘ মাসের মেঘে জনসাধারণের দুর্ভোগ বাড়লেও প্রাণ ফিরে পেয়েছে চা বাগান। বুধবার বিকেল থেকে দেশের অন্যতম পর্যটন শহর শ্রীমঙ্গলে দফায় দফায় বৃষ্টি হয়েছে। চলতি শীত মৌসুমে এটিই রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত বলে জানা গেছে। শীতে আষাঢ় মাসের মতো অঝোর ধারায় হঠাৎ বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষরা। তাদের কষ্ট বেড়েছে কয়েকগুণ। দুর্ভোগের সাথে শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাবও দেখা দিয়েছে। তবে চায়ের বাগানগুলো এ বৃষ্টিতে সবুজে ভরে উঠেছে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, শীতে বৃষ্টির কারণে হাসপাতালে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে গত কয়েক দিনের তুলনায়। প্রতিদিনই সর্দি-কাশি ও জ¦র নিয়ে নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এ ছাড়া করোনা পজেটিভের সংখ্যাও বাড়ছে। যদিও মৃত্যুর খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে চা শিল্পের জন্য মৌসুমের প্রথম এই বৃষ্টিপাত আশীর্বাদ বলে জানিয়েছেন চা শিল্প সংশ্লিষ্টরা। তারা জানান, প্লুনিং (ছাটাই) করা চা গাছে এখন নতুন কুঁড়ি গজাবে। এই বৃষ্টিপাত চা শিল্পের জন্য খুবই উপকারী। এই বৃষ্টিপাতের ফলে দ্রুত বাগানগুলো সবুজে ভরে উঠবে। আগাম বৃষ্টির ফলে চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি গুণগত মানও ভালো হবে।
অনুকূল আবহাওয়া থাকায় সদ্য সমাপ্ত চা মৌসুমে দেশে রেকর্ড পরিমাণ চা উৎপাদন হয়েছে। এছাড়া চা শিল্পে সরকারের পরিকল্পিত উন্নয়নের ফলে দেশে চায়ের উৎপাদনও বেড়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্র (বিটিআরআই) ও বাংলাদেশ চা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের ১৬৭টি চা বাগান ও ক্ষুদ্রায়তন চা বাগান থেকে রেকর্ড পরিমাণ ৯৬ দশমিক ৫০৬ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়েছে, যা এ যাবতকালের সর্বোচ্চ উৎপাদন। সরকারি সহায়তা ও সঠিক ব্যবস্থাপনার কারণে চা শিল্পে এই অর্জন সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা জানান, ২০২০ সালে দেশে ৮৬ দশমিক ৩৯৪ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়। যা গত ২০২০ সালের চেয়ে ১০ দশমিক ১১১ মিলিয়ন কেজি বেশি।
বাংলাদেশ টি ট্রেডার্স অ্যান্ড প্লান্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জহর তরফদার জানান, সরকারি নানা প্রণোদনা সহায়তা ও সঠিক ব্যবস্থাপনার কারণে চা শিল্পের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের পর শ্রীমঙ্গলে চায়ের নিলাম কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা হওয়ায় অল্প সময়ের ব্যবধানে চা বাজারজাত হচ্ছে। এতে চায়ের গুণগত মানও অক্ষুণœœ রাখা সম্ভব হচ্ছে। আর গুণগত মান ঠিক রেখে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা গেলে অদূর ভবিষ্যতে চা শিল্প আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে- এমনটা মনে করেন তিনি।
ফিনলে কোম্পানির মালিকানাধীন ভাড়াউড়া চা বাগানের জেনারেল ম্যানেজার জি এম শিবলী জানান, এসব চায়ের দুই-তৃতীয়াংশ উৎপাদন হয় মৌলভীবাজারের ৯২টি চা বাগানে। সংশ্লিষ্ট চা বাগান কর্তৃপক্ষ ও চা বোর্ডের নানামুখী উদ্যোগের ফলে চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আশরাফুল ইসলাম জানান, কোভিড পরিস্থিতি সামনে রেখে চা উৎপাদনের এ ধারাবাহিকতা থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, চা শিল্পের সক্ষমতা অনেকাংশে বেড়েছে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে গত কয়েক দিনের তুলনায়। প্রতিদিনই সর্দি-কাশি ও জ¦র নিয়ে নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এ ছাড়া করোনা পজেটিভের সংখ্যাও বাড়ছে। যদিও মৃত্যুর খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
এদিকে চা শিল্পের জন্য মৌসুমের প্রথম এই বৃষ্টিপাত আশীর্বাদ বলে জানিয়েছেন চা শিল্প সংশ্লিষ্টরা। তারা জানান, প্লুনিং (ছাটাই) করা চা গাছে এখন নতুন কুঁড়ি গজাবে। এই বৃষ্টিপাত চা শিল্পের জন্য খুবই উপকারী। এই বৃষ্টিপাতের ফলে দ্রুত বাগানগুলো সবুজে ভরে উঠবে। আগাম বৃষ্টির ফলে চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি গুণগত মানও ভালো হবে।
অনুকূল আবহাওয়া থাকায় সদ্য সমাপ্ত চা মৌসুমে দেশে রেকর্ড পরিমাণ চা উৎপাদন হয়েছে। এছাড়া চা শিল্পে সরকারের পরিকল্পিত উন্নয়নের ফলে দেশে চায়ের উৎপাদনও বেড়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্র (বিটিআরআই) ও বাংলাদেশ চা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের ১৬৭টি চা বাগান ও ক্ষুদ্রায়তন চা বাগান থেকে রেকর্ড পরিমাণ ৯৬ দশমিক ৫০৬ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। যা এ যাবতকালের সর্বোচ্চ উৎপাদন। সরকারি সহায়তা ও সঠিক ব্যবস্থাপনার কারণে চা শিল্পে এই অর্জন সম্ভব হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। তারা জানান, ২০২০ সালে দেশে ৮৬ দশমিক ৩৯৪ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়। যা গত ২০২০ সালের চেয়ে ১০ দশমিক ১১১ মিলিয়ন কেজি বেশি।
বাংলাদেশ টি ট্রেডার্স অ্যান্ড প্লান্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জহর তরফদার জানান, সরকারি নানা প্রণোদনা সহায়তা ও সঠিক ব্যবস্থাপনার কারণে চা শিল্পের অনেক অগগতি হয়েছে। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের পর শ্রীমঙ্গলে চায়ের নিলাম কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা হওয়ায় অল্প সময়ের ব্যবধানে চা বাজারজাত হচ্ছে। এতে চায়ের গুণগত মানও অক্ষুণœ রাখা সম্ভব হচ্ছে। আর গুণগত মান ঠিক রেখে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা গেলে অদূর ভবিষ্যতে চা শিল্প আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে- এমনটা মনে করেন তিনি।
ফিনলে কোম্পানির মালিকানাধীন ভাড়াউড়া চা বাগানের জেনারেল ম্যানেজার জি এম শিবলী জানান, এসব চায়ের দুই-তৃতীয়াংশ উৎপাদন হয় মৌলভীবাজারের ৯২টি চা বাগানে। সংশ্লিষ্ট চা বাগান কর্তৃপক্ষ ও চা বোর্ডের নানামুখী উদ্যোগের ফলে চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আশরাফুল ইসলাম জানান, কোভিড পরিস্থিতি সামনে রেখে চা উৎপাদনের এ ধারাবাহিকতা থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, চা শিল্পের সক্ষমতা অনেকাংশে বেড়েছে।