করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত একদিনে সারাদেশে ১৫ জন মারা গেছেন। তাদের নিয়ে সারাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা উন্নীত হয়েছে ২৮ হাজার ২৮৮ জনে।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারা দেশে ৪৯ হাজার ৪২৫ টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৮০৭ জন। তাদের নিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১৭ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩১ জনে।
নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৯৮।
বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে দেশে সেরে উঠেছেন এক হাজার ৩৭ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৫ লাখ ৬১ হাজার ৪৩ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৭ জনের মধ্যে ১০ জন নারী ও ৫ জন পুরুষ। তাঁদের মধ্যে ৮০ জন ঢাকায় ও ৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগে মারা গেছেন। এ ছাড়া রাজশাহীতে দুজন, বরিশাল ও রংপুরে একজন করে মারা গেছেন। মারা যাওয়া ১৫ জনের মধ্যে ১০ জনের বয়স ৫১ থেকে ৯০ বছর।
বাংলাদেশে আইইডিসিআর, আইসিডিডিআরবি ও বিএসএমএমইউয়ের গবেষণায় দেখা গেছে, করোনার ডেল্টা ধরনের পাশাপাশি অধিকতর সংক্রামক ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হচ্ছে। এই ওমিক্রনের কারণে বেশি সংক্রমণ হচ্ছে। এর জন্য ক্লিনিক্যাল গাইডলাইন ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেটি চূড়ান্ত হয়ে গেছে। অল্প সময়ের মধ্যেই অন্যান্য স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রতিষ্ঠানকে এটি দেওয়া হবে।’
২০২১ সালের জানুয়ারিতে এই সময়ে মোট রোগী ছিল ২১ হাজার ৬২৯ জন। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ইতোমধ্যেই তা ১লাখ ৩০ হাজারের বেশি রোগী ছাড়িয়েছে। এত বেশিসংখ্যক তথা সর্বশেষ লাখের ওপরে রোগী ছিল গত বছরের আগস্টে ২ লাখ ২৩ হাজারের বেশি, জুলাই মাসে ৩ লাখ ৩৬ হাজারের বেশি এবং সেপ্টেম্বরে ৫৫ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল। তারপর এটি ক্রমাগত কমছিল।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে যারা মারা যাচ্ছেন তাদের মধ্যে ৬১ থেকে ৭০ বছর ও ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী রোগীর সংখ্যা বেশি।