করোনা সংক্রমণ চোখ রাঙাচ্ছে। প্রতিনিয়ত আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্রিকেট যাদের ধ্যান-জ্ঞান, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচ-আসর যাদের কাছে উৎসবের উপলক্ষ্য, তারাও সে অর্থে পুলকিত নন। অতি বড় ক্রিকেটপ্রেমীও মন থেকে বলতে পারছেন না যে, দেশে এখন বিপিএলের মত ক্রিকেটযজ্ঞের সত্যিকার ও আদর্শ পরিবেশ আছে।
ওদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তথা সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সকলরকম সমাবেশ নিষিদ্ধ করার ঘোষণা এসেছে অনেক আগেই। এ কারণে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামেই হচ্ছে এবারের বিপিএল।
বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার চৌধুরী মল্লিক মানছেন, করোনা পরিস্থিতি দেখলে বিপিএল আয়োজনের শতভাগ অনুকূল পরিবেশ নেই এখন।
আসর শুরুর ২৪ ঘণ্টা আগে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আশপাশে প্রতিনিয়ত করোনা পজিটিভ বাড়ছে। ক্রিকেটারদের মধ্যেও এরই মধ্যে ৫-৬ জন কোভিড পজিটিভ। এরকম অবস্থায় খেলা চালানো সহজ কাজ নয়। বর্তমান পরিবেশ ও প্রেক্ষাপটে বিপিএল আয়োজন অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং।’
তারপরও এ সময়ে বিপিএল আয়োজনের কারণ কী? সে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব, ‘এটি বিসিএল, এনসিএল কিংবা ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ নয় যে, জাতীয় দলের ক্রিকেটার ছাড়া খেলা চালানো সম্ভব। জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ ছাড়া বিপিএল আয়োজন সম্ভব নয়। তাতে করে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি রাজি হবে না। আসরের আকর্ষণও থাকবে না।’
মল্লিক যোগ করেন, ‘টিম বাংলাদেশের এটা খুবই ব্যস্ত বছর। ২০২২ সালে আর কোনো সময় খালি নেই। তাই আমরা খানিকটা নিরুপায় হয়েই বিপিএল আয়োজন করছি।’
তারপরও বিকল্প চিন্তার কথা জানিয়েছেন মল্লিক। তার কথা, ‘আমরা মনিটর করছি সব। বিভিন্ন দলের ক্রিকেটাররা পজিটিভ হচ্ছে। আমরা সেগুলোও খুঁটিয়ে দেখছি। সেসব করোনা আক্রান্ত ক্রিকেটারদের বিষয়েও খানিক ছাড় দেবো আমরা।’
কেমন ছাড়? মল্লিক জানান, ‘যাদের তেমন কোনো উপসর্গ নেই , তারা হয়তো ৬-৭ দিনে ভালো হয়ে যায়। সেরকম ক্ষেত্রে ডাবল টেস্টে নেগেটিভ আসলে তাদের খেলার অনুমতি দেবো। তারপরও যদি কোনো দলের ক্রিকেটার করোনার কারণে পুরো আসর থেকে ছিটকে পড়েন, সেটা হোক দেশি বা বিদেশি, আমরা তার বিকল্প খেলোয়াড় দলে টানার সুযোগও করে দেব।’