আশিক বিন ইদ্রিছ/ ইসমাইল হোসেন, শ্রীপুর: গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ রেলষ্টেশনে ময়মনসিংহগামী মহুয়া এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি বগি ইঞ্জিন সহ লাইনচ্যুত হয়েছে।
আজ বৃহসপতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় এই ঘটনা ঘটে।
গাজীপুরের কাওরাইদ রেলস্টেশনে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দেওয়ানগঞ্জগামী মহুয়া এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনসহ দুইটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। তবে গতি কম থাকায় ঘটেনি বড় দুর্ঘটনা। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
শ্রীপুর রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার হারুন-অর-রশিদ জানিয়েছেন, কাওরাইদ রেলস্টেশনের দুই নম্বর লাইনে প্রবেশ করার পর ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। তবে ট্রেন চলাচলে কোনো সমস্যা নেই। ঢাকা থেকে ছেড়ে ময়মনসিংহ হয়ে মোহনগঞ্জ যাচ্ছিল ট্রেনটি। এটি বেলা ১১টা ১২ মিনিটে শ্রীপুর রেলস্টেশন ছেড়ে যায়। পরে ১১টা ৪৪ মিনিটের দিকে কাওরাইদ রেলওয়ে প্লাটফর্মে প্রবেশের সময় দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়।
তিনি আরও জানান, ট্রেনটি উদ্ধারে ঢাকা থেকে রিলিফ ট্রেন আসছে।
কাওরাইদ স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন জানান, ঘটনার পর ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল কিছু সময় বন্ধ থাকলেও বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্টেশনে বিরতি দেওয়ার জন্য ট্রেনের গতি কম ছিল। না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল। ট্রেনটি কাওরাইদ রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতি দেওয়ার জন্য এক নম্বর লাইন থেকে দুই নম্বর লাইনে প্রবেশ করে। এ সময় দুই নম্বর লাইনে মেনটেনেন্স কাজ চলছিল। স্টেশন মাস্টার ও খালাসির ভুল বোঝাবুঝির কারণে ট্রেনটি বিনা বাধায় ওই লাইনে প্রবেশ করে। এতে দুটি বগিসহ ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়। এ সময় ট্রেন থেকে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে হুড়োহুড়ি করে বাইরে বেরিয়ে আসেন। আতঙ্কিত যাত্রীরা কাওরাইদ রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে এ ধরনের অবহেলার প্রতিবাদ করেন।
আনোয়ার হোসেন নামের এক যাত্রী জানান, ট্রেনটি কাওরাইদ স্টেশনে থামার আগেই হঠাৎ বিপজ্জনকভাবে দুলে ওঠে। এতে ভেতরের যাত্রীদের মধ্যে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হয়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যেই ট্রেনটি আকস্মিকভাবে ঝাঁকি দিয়ে থেমে যায়। ট্রেনের গতি বেশি থাকলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।