করোনার পাশাপাশি ইনফ্লুয়েঞ্জার ধাক্কায় চলতি শীতে ইউরোপজুড়ে দুটি মহামারির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। আগামীতে করোনা সংক্রমণ আরো বাড়বে বলে সতর্ক করেছেন বেলজিয়ামের এক ভাইরোলজিস্ট। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দরিদ্র দেশগুলোতে টিকা সরবরাহে বিশ্বের ধনী দেশগুলোর ব্যবসায়ী নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
আরও দুটি মহামারির আশঙ্কা!
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ধারণার চেয়েও দ্রুতহারে বাড়ছে ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল (ইসিডিসি) জানায়, গেল ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ফ্লু ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে ব্যাপকহারে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, চলতি শীতে করোনা ও ইনফ্লুয়েঞ্জা দুই মহামারিতে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে পড়তে পারে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। সার্বিক স্বাস্থ্যখাতেও চাপ পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে বসন্ত ও গ্রীষ্মকালে করোনা সংক্রমণের হার কিছুটা কম হলেও আগামী শীতে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন বেলজিয়ামের ভাইরোলজিস্ট পিটার পায়োট।
পিটার বলেন, আশা করছি, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালে করোনার সমস্যা কিছুটা কমতে পারে। আর কোনো মারাত্মক ভ্যারিয়েন্টের মুখোমুখি হয়তো হতে হবে না। কীভাবে ঝুঁকি মোকাবিলা করতে হয় আমরা ইতোমধ্যে তা জেনে গেছি। ওমিক্রন দ্রুতহারে ছড়িয়ে পড়লেও এর উপসর্গ খুব মারাত্মক নয়। কিন্তু আগামী শীতকাল নিয়ে আমি চিন্তিত। কারণ এই সময় ঊর্ধ্বগতিতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।
করোনাভাইরাস দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়লেও নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে টিকা কার্যক্রম খুব ধীরগতিতে চলছে। সার্বিক করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এসব দেশে যথেষ্ট টিকা সরবরাহে বিশ্বের ধনী দেশগুলোর ব্যবসায়ী নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
তিনি বলেন, করোনার ঊর্ধ্বগতি, খাদ্য দ্রব্যের চড়া মূল্য, জলবায়ু সংকট নানারকম সমস্যায় জর্জরিত নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলো। অনেক সুবিধা থেকেই বঞ্চিত হচ্ছে এসব দেশ। টিকার সমবণ্টনে বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত তাদের সহায়তা করা
এর আগেও বিভিন্ন সময়ে টিকা কার্যক্রমে পিছিয়ে থাকা দেশগুলোতে সহায়তায় ধনী দেশগুলোকে এগিয়ে আসার কথা জানায় জাতিসংঘ।