নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। আজ রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় নারায়ণগঞ্জ মাইজদাইর ইসলামিয়া সিনিয়র কামিল (এমএ) মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি। ভোট দেওয়ার পর তৈমুর বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত ভোট সুষ্ঠু হচ্ছে। আমি লক্ষাধিক ভোটে জিতব।’
এর আগে সকাল সোয়া আটটার দিকে নারায়ণগঞ্জ ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে আসেন তৈমুর আলম খন্দকার। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। ভোট দেওয়ার পর বিএনপির চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা তৈমুর আলম বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জে একটি ভোটকেন্দ্রে তার পোলিং এজেন্ট ঢুকতে দেয়নি। তবে ভোটের সার্বিক পরিস্থিতি ভালো।
এই স্বতন্ত্র প্রার্থী অভিযোগ করে বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া ভোট দিতে না পেরে অনেকে ফিরে যাচ্ছে। তাদের আঙুলের ছাপ দিয়ে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করতে আহ্বান জানান তিনি তবে বহিরাগতদের নগরে ঢুকতে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখানোর যে ব্যবস্থা করা হয়েছে এর প্রশংসা করেন তৈমুর আলম।
আজ নিজের জয়ের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে তৈমুর আলম বলেন, ‘লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানের জয়ী হবো।’ ভোট দেওয়ার পর বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে পরিস্থিতি দেখে আবার প্রতিক্রিয়া জানাবেন বলেও জানান তৈমুর।
এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে তৈমুর আলমের সঙ্গে মূল প্রতিদ্বন্দ্বীতা হচ্ছে নির্বাচনে মেয়রপদে আওয়ামী লীগ দলীয় গত দুই বারের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর সঙ্গে। মেয়রপদে অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন- বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের দেয়ালঘড়ি এবিএম সিরাজুল মামুন, ইসলামী আন্দোলন হাতপাখা বাংলাদেশের মাছুম বিল্লাহ্, বাংলাদেশ কল্যান পার্টির হাতঘড়ি রাশেদ ফেরদৌস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন বটগাছ ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ঘোড়া কামরুল ইসলাম।
এ ছাড়া কাউন্সিলর পদে সাধারণ ওয়ার্ডে ১৪৮ জন এবং সংরক্ষিত আসনে ৩৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে মেয়র ও কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে আসছেন। প্রচারণার ১৮ দিনের কোথাও কোন সহিংসতা ও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ২০ লাখ বাসিন্দার সিটি করপোরেশনের মোট ভোটার ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৬ জন এবং মহিলা ভোটার ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১১ জন।