বুধবার (১২ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বনানীতে বিআরটিএ ভবনে এক বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, গণপরিবহনের চালক-হেলপার সবাইকে মাস্ক পরিধান করতে হবে। সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তবে বাসের ভাড়া বাড়ানো হবে না। আমরা বাসের ভাড়া বাড়ানোকে যৌক্তিক মনে করছি না। অর্ধেক যাত্রী নিলে বাসের ভাড়া বাড়ানো হবে না- এমন নির্দেশনা কেবিনেটের নির্দেশনা থেকে দেওয়া হয়েছে।
নূর মোহাম্মদ মজুমদার আরও বলেন, আলোচনায় অংশ নেওয়া বাস মালিকসহ অন্যান্য সদস্যরা বলেছেন, সব অফিস-আদালত খোলা রেখে যদি অর্ধেক যাত্রী বহন করা হয় তাহলে পরিবহনের সংকট দেখা দেবে, তাতে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়বেন। এসব বিবেচনা করে পরিবহন মালিকরা দাবি জানিয়েছেন কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে যত আসন তত যাত্রী নেওয়ার। সে ক্ষেত্রে জনগণ ভোগান্তিতে পড়বে না। তাছাড়া অনেক পরিবহন শ্রমিক এখনো ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আসেনি। তাদের দ্রুত টিকার আওতায় আনতে হবে। তাদের দাবিগুলো আমরা সরকারের কাছে জানাবো, সরকার বিবেচনা করবে।
করোনার বিস্তার রোধে ১০ দফা বিধিনিষেধ
বৈঠকে বিধিনিষেধের মধ্যেও সব আসনে যাত্রী পরিবহনের দাবি জানানো হয়েছে উল্লেখ করে বাস মালিক সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, প্লেন যেভাবে সব আসনে যাত্রী নেয়, সেভাবে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব আসনে যাত্রী পরিবহনের দাবি জানিয়েছি। চালক-শ্রমিকদের ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবি করছি। আমরা কোনোভাবেই ভাড়া বৃদ্ধি করতে চাই না।
সব আসনে যাত্রী বহনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে জাতীয় পার্টির এই নেতা বলেন, অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গাড়ি চললে সংকট হবে। হঠাৎ করে বাসের সংখ্যাও বাড়ানো সম্ভব হবে না।