১২৬ রানে অলআউট হয়ে ফলোঅনে বাংলাদেশ

খেলা

ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে চরম লজ্জার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ দল। টাইগারদের বিপক্ষে রানের পাহাড় গড়ে ইনিংস ঘোষণা করে নিউজিল্যান্ড। হ্যাগলি ওভালে দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে ৬ উইকেট হারিয়ে ৫২১ রানে ইনিংস ঘোষণা করে কিউইরা। জবাবে ব্যাট হাতে পুরোপুরি ব্যর্থ টাইগার ব্যাটিং লাইনআপ।

ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, কাইল জেমিসনের পেস তোপে বিধ্বস্ত বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে লাথামের ঠিক অর্ধেক, ১২৬ রানে। নিউজিল্যান্ডের করা ৫২১ রানের চেয়ে ৩৯৫ রানে পিছিয়ে সফরকারীরা। বাংলাদেশকে ফলো-অন করাবে কি না নিউজিল্যান্ড, তা জানা যাবে তৃতীয় দিন সকালে।

নিউজিল্যান্ডের ৫২১ রানের জবাবে ইনিংসের প্রথম বলে দুই রান নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন সাদমান ইসলাম। টিম সাউদির করা সেই ওভারেই তুলে নিয়েছিলেন সাত রান। কিন্তু পরের ওভারের দ্বিতীয় বলেই টম লাথামের হাতে ক্যাচ বানিয়ে তাকে সাজঘরের টিকিট ধরিয়ে দেন ট্রেন্ট বোল্ট।
পরের ওভারে অভিষিক্ত নাইম শেখকে সরাসরি বোল্ড করে দেন সাউদি। পাঁচ বল খেলেও কোনো রান করতে পারেননি এ বাঁহাতি ওপেনার। সাদমান আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ওভারের শেষ চার বল থেকে দুইটি ডাবলস নিয়েছিলেন নাজমুল শান্ত। সেখানেই শেষ। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে সাদমানের মতো শান্তকেও স্লিপে দাঁড়ানো লাথামের হাতে ক্যাচে পরিণত করেন বোল্ট। শান্ত করতে পারেন মাত্র ৪ রান। বাংলাদেশের বিপদ আরও বাড়ে পরের ওভারের প্রথম বলেই সাউদির ফুল লেন্থের ডেলিভারিতে মুমিনুল বোল্ড হয়ে গেলে।

শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার যে আভাস দেখা গিয়েছিল লিটন দাস ও ইয়াসির আলির ব্যাটে, তার সলীম সমাধি ঘটলো চা পানের বিরতির ঠিক পরের ওভারেই। শেষ সেশনে খেলতে নেমে ট্রেন্ট বোল্টের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই কট বিহাইন্ড হন লিটন। আউট হওয়ার আগে ৮ রান করেন তিনি।

মাত্র ২৭ রানে ৫ উইকেট পতনের পর অল্পেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দেয়। তবে সেখান থেকে প্রাথমিক প্রতিরোধ গড়েন ইয়াসির ও সোহান। দু’জন মিলে দেখেশুনে খেলতে থাকেন ট্রেন্ট বোল্ট, নেইল ওয়াগনার, টিম সাউদিদের একের পর এক ওভার। যার সুবাদে ইনিংসের ২৭তম ওভারে পূরণ হয় তাদের ৫০ রানের জুটি। কিন্তু সাউদির বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে সোহানের ইনিংস থেমে যায় ৪১ রানে। লেগ বিফোরের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিভিউ নিয়েছিলেন সোহান। কিন্তু আম্পায়ারস কলের কারণে বিদায়ঘণ্টা বেজে যায় তার।

এরপর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি মেহেদি হাসান মিরাজও। বোল্টের ৩০০তম টেস্ট উইকেটে পরিণত হন ৫ রান করা মিরাজ। এর মাঝেই নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নেন ইয়াসির রাব্বি। ছয় নম্বরে নেমে সাত চারের মারে ৮৫ বলে ফিফটি পূরণ করেন তিনি। তবে তার ফিফটি হওয়ার আগের বলেই অষ্টম ব্যাটার হিসেবে সাজঘরের পথ ধরেন ২ রান করা তাসকিন আহমেদ।

৪১তম ওভারের তৃতীয় বলে জেমিসনের বাউন্সারে হাতে ব্যথা পান ইয়াসির। ঠিক পরের বলেই আরেকটি বাউন্সারে পুল করতে গিয়ে ধরা পড়েন ড্যারেল মিচেলের হাতে। ইয়াসির করেন ৯৫ বলে ৫৫ রান। পরের ওভারে বাংলাদেশকে অলআউট করার বাকি আনুষ্ঠানিকতা সারেন বোল্ট। শরিফুল ইসলামকে বোল্ড করে ক্যারিয়ারে নবমবারের মতো ফাইফার তুলে নেন নিউজিল্যান্ডের চতুর্থ বোলার হিসেবে ৩০০ উইকেট নেওয়া বোল্ট। এছাড়া সাউদি তিনটি ও জেমিসনের শিকার দুই উইকেট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *