বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যায় ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য (ডেথ রেফারেন্স) মামলার নথিপত্র বিচারিক আদালত থেকে হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছে। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ বৃহস্পতিবার এই নথিপত্র হাইকোর্টে পাঠান। ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবু আবদুল্লাহ ভূঁইয়া এ তথ্য জানানা।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ থেকে ৬ হাজার ৬২৭ পৃষ্ঠার ডেথ রেফারেন্স ও মামলার যাবতীয় নথি হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পাঠানো হয়। নিয়মানুযায়ী, এখন এই মামলার পেপারবুক তৈরি হবে। এরপর প্রধান বিচারপতি যখন বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেবেন তখন নির্ধারিত হাইকোর্ট বেঞ্চে মামলাটি শুনানির জন্য যাবে।
গত ৮ ডিসেম্বর আবরার হত্যা মামলার রায়ে ২৫ আসামির সবাইকে দোষী সাব্যস্ত করে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় বিচারিক আদালত। সেই সঙ্গে পাঁচজনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। আসামিদের মধ্যে ২২ জন কারাগারে রয়েছেন, তিনজন পলাতক।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন-মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, মেহেদী হাসান রবিন, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ, মো. মুজাহিদুর রহমান, খন্দকার তাবাককারুল ইসলাম তানভীর, হোসাইন মোহাম্মদ তোহা, মো. শামীম বিল্লাহ, এ এস এম নাজমুস সাদাত, মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম, মুনতাসির আল জেমি, মো. শামসুল আরেফিন রাফাত, মো. মিজানুর রহমান, এস এম মাহমুদ সেতু, মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মুজতবা রাফিদ। তাঁদের মধ্য মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মুজতবা রাফিদ পলাতক।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন-মুহতাসিম ফুয়াদ হোসেন, মো. আকাশ হোসেন, মুয়াজ আবু হুরায়রা, অমিত সাহা ও ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। শিবির সন্দেহে গুজব ছড়িয়ে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা রাজধানীর চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। এই অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।