ঢাকা: গণফোরাম (একাংশ) সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মোহসীন মন্টু ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিনাভোটের নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল।
মঙ্গলবার (৪জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সব রাজনৈতিক দল-মত ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মতামত উপেক্ষা করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য একতরফাভাবে তত্ত্বাধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করেছে। গৃহপালিত কিছু দল ছাড়া অধিকাংশ রাজনৈতিক দল দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি। লজ্জাজনক হলেও সত্য ১৫৩টি আসনে কোনো ভোটই অনুষ্ঠিত হয়নি। কারণ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থীই ছিল না। ওই নির্বাচন ব্যবস্থা ও নির্বাচন কমিশনের ওপর এদেশের আপামর জনসাধারণের বিন্দু পরিমাণ ভরসা ছিল না। ২০১৪ সালের বিনা ভোটের নির্বাচনে ৫ শতাংশ ভোটারও অংশ নেননি। কিন্তু জোর করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে এদেশের মানুষের ওপর এক দুঃশাসনের চরম ব্যবস্থা চাপিয়ে দিয়ে কার্যত পক্ষে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করা হয়।
তারা আরও বলেন, পরবর্তীতে আমরা দেখেছি এদেশের জনগণকে উপেক্ষা করে অবৈধভাবে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার নীল নকশা করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। আমরা মধ্যরাতের ভোটের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেখেছি। আবার বর্তমান সময়ে চাতুর্যপূর্ণ সংলাপের নাটক দেখতে পাচ্ছি এবং সরকারি দলের বশংবদরা এই নাটকে অংশ নিচ্ছেন।
গণফোরামের নেতারা বলেন, এদেশের কেউই আর বিশ্বাস করে না, এই অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব। তাই জনগণের আশা-আকাঙ্খা ও অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্দলীয় সরকার/জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। সেই লক্ষ্যে সব গণতন্ত্রমনা রাজনৈতিক দল-মত, শ্রেণি পেশার জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে একটি জাতীয় গ্র্যান্ড কনভেনশনের মাধ্যমে এই দুঃশাসনের হাত থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষায় গণফোরাম প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।