মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটের অদুরে পদ্মায় লঞ্চডুবির ঘটনায় ৭০টি মৃতদেহ উদ্ধার হলেও এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে আরও ১১ লঞ্চযাত্রী। এরই মধ্যে ৬৯ টি মরদেহ তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি অজ্ঞাত এক মধ্যবয়সী নারীর মরদেহ আজ দুপুরে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামে মাধ্যমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আঞ্জুমান মফিদুলের প্রতিনিধি কামরুল হাসানের নিকট ওই মরদেহটি হস্তান্তর করা হয়।
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ.কে.এম গালিভ খান জানান, লঞ্চডুবির ঘটনায় এখনও যারা নিখোঁজ রয়েছেন তারা হলেন, মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার তেওতা গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদিনের ছেলে আবুল হোসেন হাসু (৫৫), এলাচিপুর গ্রামের শেখ আফাজ উদ্দিনের ছেলে সোরহাব হোসেন, চরকুশন্ড গ্রামের হাবিব মোল্লার ছেলে মান্নু পাগলা (৬৫), ঢাকার মহাখালি এলাকার ৭৫ নাম্বার বাসার সামাদ হোসেনের ছেলে ব্রাক কর্মকর্তা মোস্তফা মাহফুজ, ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার দলিলপুর গ্রামের নাজমুল হোসেনের মেয়ে মারুফা খাতুন (৫), রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মুরাদনগর গ্রামের সেকেন আলীর স্ত্রী অজিরুননেসা ((৩৮), নড়াইলের লোহাগড়া এলাকার হাসেম আলীর স্ত্রী সাহেদা বেগম, কুষ্টিয়ার কুমারখালির যাদবপুর গ্রামের মিলন শেখের স্ত্রী লিপি আক্তার (৪২), ফরিদপুরের ভাংগা উপজেলার নুর ইসলামের ছেলে জুয়েল রানা (২৭)।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরও জানান, উদ্ধার তৎপরতার অব্যাহত রয়েছে। মৃতদেহের খোঁজে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা মাঝে মাঝে নৌ পথে টহল দিচ্ছেন।