ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে কতজন নিখোঁজ রয়েছেন, তার সঠিক হিসেব এখনও কেউ দিতে পারছেন না। দুর্ঘটনার পর শুক্রবার সকাল থেকে সুগন্ধা তীরের দিয়াকুল গ্রামে, ঝালকাঠী সদর হাসপাতাল ও বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেলে আসতে থাকেন নিখোঁজদের স্বজনরা। তাদের আহাজারিতে ভারি হয় সুগন্ধা তীর এবং হাসপাতালের পরিবেশ।
বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. সাইফুল হাসান বাদল শুক্রবার রাতে বলেন, নিখোঁজ যাত্রীদের সুনির্দিষ্ট সংখ্যা আমরা এখনও বলতে পারছি না। ফায়ার সার্ভিস এবং কোস্টগার্ডের একাধিক টিম সুগন্ধা নদীতে নিখোঁজদের সন্ধানে রয়েছে। এ ছাড়া বরগুনায় কন্ট্রোল রুম খুলে শহরে মাইকিং করা হয়েছে নিখোঁজদের তথ্য সংগ্রহের জন্য। প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাণপন চেষ্টা চালানো হচ্ছে নিখোঁজদের সুনির্দিষ্ট সংখ্যা জানতে।
ঝালকাঠী জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলীও দুর্ঘটনা কবলিত নিখোঁজ যাত্রীদের সুনির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা জানাতে পারেননি। তিনিও বলেছেন, নিখোঁজদের নাম-পরিচয় সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। আর, বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মো. কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, বরিশাল ও ঝালকাঠীর একাধিক দল সুগন্ধা নদীতে নিখোঁজদের সন্ধান চালাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে ঝালকাঠীর পোনাবালীয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকায় ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চে আগুন লাগে। লঞ্চটি প্রায় ৮০০ যাত্রী নিয়ে বরগুনা যাচ্ছিল। আগুন লাগার পর যাত্রীরা নেভানোর চেষ্টা করেন। অনেকে ছাদে চলে যান। কেউ কেউ নদীতে লাফ দেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া দগ্ধ আছেন শতাধিক।